ব্রিটিশ গ্যাংস্টারভিত্তিক জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর পোশাক অনুকরণ করায় আফগানিস্তানে চার তরুণকে আটক করেছে তালেবান পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন আসগর হুসিনি, জলিল ইয়াকুবি, আশোর আকবরী ও দাউদ রাসা। তাদের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি সংস্কৃতি প্রচারের’ অভিযোগ আনা হয়। সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি চার তরুণের একটি গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়।
লম্বা কোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ, স্টাইল করা থ্রি-পিস—সব মিলিয়ে তারা যেন সিরিজের শেলবি পরিবারের সদস্যদেরই অনুকরণ করেছেন। নেটিজেনরা মজা করে তাদের ‘জিব্রাইল শেলবি’ বলেও ডাকতে থাকেন।
ইউটিউব চ্যানেল ‘হেরাত মাইক’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা জানান, সিরিজটির ফ্যাশনের প্রতি মুগ্ধ হয়েই এ ধরনের পোশাক পরা শুরু করেছিলেন, আর স্থানীয় মানুষের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছিলেন।
তবে তালেবানের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার বলেন, এ ধরনের পোশাক ও আচরণ “ইসলামী মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
তিনি একটি ভিডিওও প্রকাশ করেন, যেখানে তরুণদের একজনকে অনুশোচনা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খাইবার দাবি করেন, তরুণদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি; কেবল তলব করে ‘পরামর্শ’ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তালেবান আগেও পোশাকবিধি লঙ্ঘন ও সাংস্কৃতিক আচরণ সংক্রান্ত অভিযোগে বহু মানুষকে আটক করেছে। গত বছর তালেবান কর্তৃপক্ষ মানুষ ও প্রাণীসহ ‘সকল জীবন্ত জিনিসের’ ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে আইন জারি করে।
যদিও নিজেরাই নিয়মিত সামাজিকমাধ্যমে মানুষের ছবি পোস্ট করে, তবু
কর্মকর্তারা জানান—এই আইন পুরো আফগান সমাজের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
বিষয় : আফগানিস্তান
.png)
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রিটিশ গ্যাংস্টারভিত্তিক জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’-এর পোশাক অনুকরণ করায় আফগানিস্তানে চার তরুণকে আটক করেছে তালেবান পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন আসগর হুসিনি, জলিল ইয়াকুবি, আশোর আকবরী ও দাউদ রাসা। তাদের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি সংস্কৃতি প্রচারের’ অভিযোগ আনা হয়। সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি চার তরুণের একটি গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়।
লম্বা কোট, ফ্ল্যাট ক্যাপ, স্টাইল করা থ্রি-পিস—সব মিলিয়ে তারা যেন সিরিজের শেলবি পরিবারের সদস্যদেরই অনুকরণ করেছেন। নেটিজেনরা মজা করে তাদের ‘জিব্রাইল শেলবি’ বলেও ডাকতে থাকেন।
ইউটিউব চ্যানেল ‘হেরাত মাইক’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা জানান, সিরিজটির ফ্যাশনের প্রতি মুগ্ধ হয়েই এ ধরনের পোশাক পরা শুরু করেছিলেন, আর স্থানীয় মানুষের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছিলেন।
তবে তালেবানের পাপ ও পূণ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার বলেন, এ ধরনের পোশাক ও আচরণ “ইসলামী মূল্যবোধ ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
তিনি একটি ভিডিওও প্রকাশ করেন, যেখানে তরুণদের একজনকে অনুশোচনা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খাইবার দাবি করেন, তরুণদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি; কেবল তলব করে ‘পরামর্শ’ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তালেবান আগেও পোশাকবিধি লঙ্ঘন ও সাংস্কৃতিক আচরণ সংক্রান্ত অভিযোগে বহু মানুষকে আটক করেছে। গত বছর তালেবান কর্তৃপক্ষ মানুষ ও প্রাণীসহ ‘সকল জীবন্ত জিনিসের’ ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে আইন জারি করে।
যদিও নিজেরাই নিয়মিত সামাজিকমাধ্যমে মানুষের ছবি পোস্ট করে, তবু
কর্মকর্তারা জানান—এই আইন পুরো আফগান সমাজের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন