বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা: যুক্তরাষ্ট্রে মোট শুল্ক ৫৪%!

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য দুঃসংবাদ! যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশের আরএমজি পণ্যের ওপর ৩৭% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে, যা আগের ১৭% শুল্কের সঙ্গে মিলিয়ে মোট ৫৪% এ পৌঁছেছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্কহারভুক্ত দেশগুলোর একটি হয়ে গেছে।
শিল্পের জন্য অশনিসংকেত!
এই উচ্চ শুল্কের ফলে বাংলাদেশের আরএমজি শিল্প চরম প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠবে, যেখানে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ তুলনামূলক কম শুল্ক সুবিধা পায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে শওন ইসলাম প্রতিক্রিয়া
বর্তমানে ব্যবসায়িক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত স্প্যারো গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বিজিএমইএ পরিচালক শওন ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, এই ৩৭% শুল্ক পূর্বের ১৭% এর অতিরিক্ত, যা GAP-এর লিগ্যাল টিমের সঙ্গে তার সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে জানা গেছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য যেন আকাশ থেকে বজ্রপাতের মতো। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিশ্বস্ত সরবরাহকারী থাকলেও, এই অতিরিক্ত শুল্ক শিল্পকে এক ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
বাংলাদেশ কি বিকল্প বাজার তৈরিতে সক্ষম হবে, নাকি উচ্চ শুল্কের ধাক্কায় রপ্তানি হ্রাস পাবে? এখনই সময় কৌশল পুনর্বিবেচনার!
যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ওপর ৫৪% রেসিপ্রোকেটিং শুল্ক কার্যকর করে, তাহলে এটি শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হবে। বাংলাদেশের প্রধান ক্রেতা ইউরোপ, কিন্তু আমরা এখনও কার্যকর বিকল্প বাজার তৈরি করতে পারিনি। এতে ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর জন্য সুযোগ বাড়তে পারে।
মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বিশ্ববাজারে স্পষ্ট, যা বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানিকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই একক দেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। গত ২৪ বছরে বাংলাদেশ আরএমজি খাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গড়ে মাত্র ৫% মার্কেট শেয়ার পেয়েছে, যা তথ্য-উপাত্তেও প্রতিফলিত। তাই, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হলেও মার্কিন বাজার পুরোপুরি হারানোর শঙ্কা নেই, তবে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।