রেকর্ড হারে বাড়ছে ব্যবসা বন্ধের আবেদন
আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত দুই মাসে (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) সিটি গ্রুপ, বিএসআরএম, ইউএস-বাংলাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গ্রুপের দেড় শতাধিক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধ হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিও। এতে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বিক্রি কমে যাওয়া, সুদের উচ্চ হার, শ্রম অসন্তোষ, পরিবহন ও কারিগরি সমস্যা, ডলার সংকটে কাঁচামালের ঘাটতি, বৈশ্বিক যুদ্ধ ও আকস্মিক বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কিছু কোম্পানির ব্যবসা করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।
কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— স্থায়ীভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ১৬০টির মতো কোম্পানি বন্ধের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে বন্ধের আবেদনসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে। আবার কিছু কোম্পানি সাধারণ সভার বৈঠকে প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বন্ধের তালিকায় ছোট প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে, তেমনই বড় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরে নিবন্ধিত এসব কোম্পানির মধ্যে পণ্য সরবরাহ ও সেবাদানকারী উভয় খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে নিবন্ধন নেওয়া কোম্পানিও বন্ধের তালিকায় আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি শ্রম অসন্তোষের কারণে দেশের শীর্ষ রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরের (আরজেএসসি) তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মাসে (মে থেকে সেপ্টেম্বর) ১২৮টি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। এরমধ্যে শুধু আগস্ট মাসেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ৪৬টি কোম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। পরের মাস সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়েছে ২৬টি কোম্পানি। জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ৮৩টি কোম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। আরজেএসসির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকেই কোম্পানি বন্ধের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুন মাসে ১৬টি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। জুলাই মাসে বন্ধ হয় ২১টি।
সরকারি সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ২৭৫টি কোম্পানি বন্ধ করা হলেও চলতি অর্থবছরের তিন মাসে যে ধারা তৈরি হয়েছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে অর্থবছর কোম্পানি শেষে বন্ধের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।
এ অবস্থায় ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি না হলে আরও কোম্পানি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এমনকি বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ না থাকায় নতুন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, টাকার মূল্যমান হ্রাস, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বল্পতা, ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চহার এবং ঋণপত্র খোলার প্রতিবন্ধকতাসহ নানাবিধ সমস্যা আমাদের বেসরকারি খাত মোকাবিলা করছে। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বন্দরের আমদানি পণ্যের শুল্কায়নে পদ্ধতিগত জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা, নানা ধরনের জরিমানা আরোপের ফলে আমাদের ব্যবসায়িক খরচ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এদিকে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা, এখনও ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অপর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শিল্প এলাকায় শ্রম অসন্তোষ— বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার পথে এখন মূলত তিনটি বাধা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশ্বব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এ এমন কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চাকরির মান এবং দক্ষতার ঘাটতি। ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তার অন্যতম কারণ হলো— চাকরির সুযোগ সীমিত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বাইরের খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদের হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে। এসব কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশের একটি শীর্ষ করপোরেট গ্রুপের একজন পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগের সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়া যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের টাকায় ব্যবসা করেছে, তারা এখন বিপাকে পড়েছে। তারা হয়তো কোম্পানি বন্ধ করছে। কিন্তু যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তারা বরং নতুন কোম্পানি খুলছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, স্কয়ার বা যমুনা গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান নতুন করে ব্যবসা বাড়াচ্ছে। এমনকি সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপও তাদের কোনও কোম্পানি বন্ধ করছে না। তিনি আশা করেন, অচিরেই হয়তো বিএনপির ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কোম্পানি নিবন্ধন নেওয়া শুরু করবে।
অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরের তথ্যও বলছে, একদিকে কোম্পানি বন্ধ হলেও আরেকদিকে নতুন নামে নতুন কোম্পানি খুলেছেন উদ্যোক্তারা। সরকারি হিসাবে, গত জুন থেকে প্রতি মাসেই নতুন কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়ার হার বেড়েছে। আরজেএসসির ৬ অক্টোবরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— গত ৫ মাসে (মে থেকে সেপ্টেম্বর ) ৩ হাজার ৮০৫টি নতুন কোম্পানি নিবন্ধন পেয়েছে। এই সময়ে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতর নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন পেয়েছে ৪ হাজারের বেশি।
আরজেএসসির তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে ২৬ কোম্পানি বন্ধ হলেও এই মাসে ৯৬৮টি নতুন কোম্পানি নিবন্ধন পেয়েছে। আগস্টে ৪৬টি কোম্পানি বন্ধ হলেও নতুন নিবন্ধন পেয়েছে ৭১৭টি নতুন কোম্পানি। জুলাই মাসে ২১ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, ওই মাসে ৬৪৭টি নতুন কোম্পানির নিবন্ধন নিয়েছে। একইভাবে জুনে ১৬টি কোম্পানি বন্ধ হলেও নতুন করে নিবন্ধন পেয়েছে ৬৩২টি কোম্পানি। আর চলতি বছরের মে মাসে ১৯টি কোম্পানি বন্ধ হলেও নতুন নিবন্ধন পেয়েছে ৮৪১টি কোম্পানি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এ কে খান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়া বা কোম্পানি বন্ধ করা ব্যবসার একটি নিয়মিত বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও গ্রুপ একটি কোম্পানি বন্ধ করে অনেক সময় চারটি নতুন কোম্পানি খোলেন। বিভিন্ন ব্যক্তি বা গ্রুপ আগের কোম্পানি বন্ধ করে ভিন্ন ভিন্ন কারণে। কেউ ট্যাক্স থেকে বাঁচতে কোম্পানি বন্ধ করেন, কেউ লোকসান থেকে বাঁচতে কোম্পানি বন্ধ করেন, আবার কেউবা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতে কোম্পানি বন্ধ করেন। যেমন- গত চার বছর ধরে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেশন্স বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতি বছর অহেতুক ট্যাক্স দিতে হয়। আমি এ কারণে আমার একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। তবে আমরা আমাদের ব্যবসা সংকুচিত করছি না। ভিন্নভাবে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের অর্থনীতিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে মূলত তিন বছর আগে। এখন যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশে অচিরেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হতে শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, এই ব্যবসায়ী নেতার মালিকানাধীন এ কে খান ওয়াটার হেলথ (বাংলাদেশ) লিমিটেড বন্ধে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরজেএসসির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে নতুন কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়া হয় সব চেয়ে বেশি। ওই অর্থবছরে নতুন ১৪ হাজার ৮২৬টি নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি খোলা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৫টি কোম্পানির জন্য। পরের দুই অর্থবছরে ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ নিবন্ধনের সংখ্যা ১০ হাজারের ঘরে নেমে আসে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নতুন কোম্পানির নিবন্ধন পেয়েছে ২ হাজার ৩৩২টি প্রতিষ্ঠান।
দেশে (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭১টি।
বন্ধ হচ্ছে যেসব কোম্পানি
দেশের শীর্ষ স্থানীয় করপোরেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ তাদের ৩০টি কোম্পানি বন্ধ করে দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটি হেয়ার অয়েল, দি এশিয়া প্যাসিফিক রিফাইনার্স, সিটি সিড ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজ (ইউনিট-২), হাসান ডাল মিলস, সিটি ফাইবার্স, হাসান পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, হামিদা প্লাস্টিক কনটেইনার্স, হাসান প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি বিস্কুট, সিটি কনডেন্সড মিল্ক, হামিদা অ্যাগ্রো ফুড, শম্পা পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি, রূপসী সুগার মিলস, শম্পা সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি পোলট্রি ও ফিশ ফিড, সিটি ভেজিটেবল অয়েল মিল, কোনাপাড়া অয়েল মিলস, হাসান ভেজিটেবল অয়েল মিলস, এফ রহমান অয়েল মিলস, আজগর অয়েল মিলস, ফারজানা অয়েল রিফাইনারিজ, সিটি ব্র্যান অয়েল, সিটি কোকোনাট অয়েল মিল, রহমান কোকোনাট অয়েল মিলস, সাগুরনাল হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ, এফ রহমান শিপিং লাইনস, সিটি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল, হোসেন্দি পেপার মিলস, সিটি টেস্টি বাইট ও দ্বীপা ফুড প্রডাক্টস। এসব কোম্পানি বন্ধে অবসায়ক (অবসানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বা ব্যক্তি সংস্থা) নিয়োগ দিয়েছে গ্রুপটি। অবসায়ক আইনজীবী জি কে রাজবংশী কোম্পানি বন্ধের জন্য সেপ্টেম্বরে ইজিএম আহ্বান করেন।
ইউএস-বাংলা গ্রুপ তাদের পাঁচটি কোম্পানি বন্ধ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গত সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানির ইজিএম হয়েছে। ওই সভায় ইউএস-বিডি সিকিউরিটি সার্ভিস, ইউএস-বাংলা গ্রুপ, ইউএস-বাংলা ফার্নিচার, ইউএস-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইউএস-বাংলা অ্যাগ্রোর জন্য অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পিতার নামে মাদারীপুরে গড়া প্রতিষ্ঠান আসমত আলী খান সেন্ট্রাল হসপিটাল লিমিটেড বন্ধ হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের আরেকটি কোম্পানি ল্যাব কোয়েস্টও বন্ধ হচ্ছে। ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপের বিএসআরএম রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ বন্ধের জন্য সিফিক বসাক অ্যান্ড কোংকে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ডায়মন্ড গোল্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড গোল্ড ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ হচ্ছে । বন্ধ হচ্ছে পেপার কাপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনটেক গ্রিনপ্যাকও।
বিদেশি কোম্পানি
গত আগস্টে জিনপেং ট্রেডিং কোম্পানি বন্ধের জন্য অবসায়ক নিয়োগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেন সুহুই। বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে তাইওয়ানভিত্তিক মেরিল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিও। সিঙ্গাপুরভিত্তিক হুইডিং প্রাইভেট কোম্পানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক কোম্পানি ব্রাইড মেডিক্যাল অ্যান্ড এডুকেশন সার্ভিস লিমিটেড গত ১১ আগস্ট ইজিএমে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা স্বেচ্ছায় এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি শিপকার্ড মেরিন বাংলাদেশ লিমিটেড স্বেচ্ছায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাইট টেক ইন্টারন্যাশনাল (এসএ) লিমিটেড তাদের দ্বিতীয় ইজিএমে বন্ধের অনুমোদন করা হয়েছে।