ধর্ম

দাড়ি- টুপি-সুন্নাহ

দাড়ি হলো মানুষের চোয়াল, থুতনি, উপরের ঠোঁট, নীচের ঠোঁট, গাল এবং ঘাড়ে গজায় এমন লোম কে দাঁড়ি বলা হয়।
মানুষের ক্ষেত্রে, সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক(১৮) পুরুষদের বুকে, বগলে, এবং নাভীর নীচে লোম গজাতে দেখা যায়। শরীরের এক-এক স্থানে গজানো লোমের এক-এক ভাবে নাম করন হয়।

মানব ইতিহাস জুড়ে , প্রচলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বর্তমান যুগের ফ্যাশন প্রবণতার মতো বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে পুরুষদের দাড়ির প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে । বেশ কয়েকটি ধর্মে দাড়িকে অপরিহার্য বলে মনে করেছে এবং এটিকে তাদের পালনের অংশ হিসাবে বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যান্য সংস্কৃতি, আনুষ্ঠানিকভাবে বাধ্যতামূলক না হলেও, দাড়িকে একজন পুরুষের পুরুষত্বের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখে , যা সদ্গুণ , সৌন্দর্য , প্রজ্ঞা , শক্তি , উর্বরতা , যৌন দক্ষতা এবং উচ্চ সামাজিক মর্যাদার মতো গুণাবলীর উদাহরণ দেয় ।
ঠান্ডা জলবায়ুযুক্ত দেশগুলিতে, দাড়ি পরিধানকারীর মুখকে ঠাণ্ডা থেকে ও রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দাড়ি মুখমন্ডলকে সূর্য সুরক্ষাও প্রদান করে।
একজন মানুষকে সনাক্ত করার জন্যেও দাঁড়ির গুরুত্ব অপরিহার্য। যেমন
প্রশ্ন : লোকটির মুখে কি দাড়ি ছিলো?
উ: হ্যাঁ সে মেহেদি লাগানো লাল দাড়ি ওয়ালা লোক।

অপরদিকে টুপির ইতিহাস খোঁজলে দেখা যায় যিশু খৃস্টের জন্মের সাতশো বছর পূর্ব থেকে প্রাচীন যুগের মানুষ টুপি ব্যবহার করে আসছে।

টুপি এটি একপ্রকার পরিধেয় যা মাথা আবরণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইতিহাস ঘেটে জানা যায়, যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৭০০ বছর আগে টুপি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
টুপি পাশ্চাত্যের ‘হ্যাট’-এর সমতূল্য যা দাঁড়ির মত শৈত্য ও রৌদ্র নিরোধেও কাজ করে। সেনাবাহিনী পুলিশ বাহিনী ইউনিফর্মড বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ ধরনের টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন। হাসপাতালে নার্সরা টুপি মাথায় দায়িত্ব পালন করেন। বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, স্কাউট বাহিনী, পাহাড়ে অবৈধভাবে তিন পার্বত্য জেলার শান্তি বাহিনী এর সবাই নিজনিজ পোশাক এর সাথে টুপি পরিধান করে দায়িত্ব পালন করে। রান্নাঘরে পাচক টুপি দিয়ে মাথা আবৃত করে রাখেন যাতে মাথার চুল খাদ্যদ্রব্যে না পড়ে। ক্রিকেট ও বেসবল খেলার মাঠে খেলোয়াড়রা সচরাচর টুপি ব্যবহার করেন। ইতিহাস স্বাক্ষী প্রাচীন যুগের মানুষ যুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যেও লৌহইস্পাত তৈরী টুপি ব্যবহার করতেন।

আল কুরআনে সূরাহ তোহা, আয়াত ৯৪ তে আল্লাহ চুলদাঁড়ি নিয়ে আয়াত টি তে বলেন, মুসা যখন হারুন কে রাগের মাথায় চুলদাড়ি ধরে টানছিলেন তখন হারুন বলবেন, হে আমার ভাই আপনি আমার চুলদাড়ি ধরে টানবেন না

সুতরাং দাড়ি টুপিকে ইসলাম ধর্মের অংশ বানানো কতটা যুক্তিযুক্ত মানদন্ডের সঠিক ইতিহাস হতে পারে?

যে দাড়ি ইসলাম ধর্মের সৃষ্টির হাজার হাজার বছর আগে থেকে নবী আদম থেকে ইব্রাহিম, মুসা, ইসা, নমরুদ, ফেরাউন আবু লাহাব রাও সযত্নে ধারণ করেছেন এবং যে টুপি ইসলাম ধর্ম সৃষ্টির তেরশ বছর আগে থেকে মিশরীয় সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ।
সেই দাড়ি-টুপি কিভাবে রাসুলের সুন্নাহ হিসাবে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব!
প্রথমত আমাদের জানা দরকার সুন্নাহ শব্দের অর্থ কি?
মূলতঃ সুন্নাহ শব্দের অর্থ হলো , রীতিনীতি, আদর্শ বৈশিষ্ট্য, পথ পদ্ধতি, মুখ,প্রকৃতি,জীবনধারা, ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হলো মহামহিম দয়াময় আল্লাহর নিজস্ব কিছু রীতিনীতি বা সুন্নাহ রয়েছে, যেমন বর্ষাকালে বৃষ্টি গ্রীষ্মকালে তীব্র গরম, জোয়ারভাটা, আমাবস্যা পূর্নিমা, ইত্যাদি আল্লাহর সুন্নাহ । আবার প্রতিটি মানুষেরও নিজস্ব কিছু রীতিনীতি বা সুন্নাহ রয়েছে। আল্লাহর গোলাম ও নবী মুহাম্মদ সাঃ এর অনুসারী হিসেবে আমার নিজস্ব সুন্নাহ হলো শীত বর্ষা যেকোন মৌসুমে ভোরে উঠে ঠান্ডা জলে গোসল সারা, ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা ইত্যাদি আমার সুন্নাহ।

মুলতঃ আল কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর আদেশনির্দেশানাই মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত সুন্নাহ।

যেমন, এতিমের সম্পদ না লুটা, অপরের সম্পদ আত্মসাৎ না করা, ওজনে কম না দেওয়া, পরচর্চা না করা, গোপনীয়তা রক্ষা করা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না করা, মিথা কথা না বলা ইত্যাদি আল্লাহর সুন্নাহ । কথা হলো প্রকৃত অর্থে আমরা মুলত আল্লাহর নির্দেশিত এ-সব সুন্নাহ কতটা অনুসরণ করি?

দাড়ি-টুপি রাসুলের সুন্নাহ
আমাদের আগে জানা দরকার রাসুল মানে কি?

আল্লাহ বলেন, আমি এমন কোনো জনপদ সৃষ্টি করি নাই যাহাতে রাসুল প্রেরণ কি নাই। আল কুরআন।
এতে থেকে বুঝা যায় রাসুলের সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই অসখ্য অসংখ্য রাসুল প্রেরণ করেছেন আমাদের আল্লাহ মালিক। রাসুল শব্দের প্রকৃত বাংলা অর্থ হলো বাণী বাহক। অপরদিকে নবী শব্দের অর্থ হলো বাণী সংগ্রাহক ( যিনি) জিবরাইল হাফিজের মাধ্যমে বাণী গ্রহণ করেন) আল কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম সন্নিবেশিত হয়েছে। সেই হিসাবে কুরআনের ইংগিত থেকে অনুমেয় রাসুলের তুলনায় নবীর সংখ্যা অনেক নগন্য।

এখানে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়, আপনি যখন রাসুলের সুন্নাহ বলেন অসংখ্য রাসুলের মধ্য কোন রাসুলের সুন্নাহ আখ্যায়িত করছেন? অথবা যদি নবীর সুন্নাহ বলেন তাহলে কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর মধ্য কোন নবীর কথাই উপস্থাপন করছেন? যদি আপনার বক্তব্য কোনো প্রকার জড়তা না থাকে তাহলে স্পষ্ট করে বলুন এটাই নবী মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহ। তাহলে আর প্রশ্ন সৃষ্টি হয় না। আপনি একবার বলেন রাসুলের সুন্নাহ একবার বলেন নবীর সুন্নাহ কিন্তু একবারও সুস্পষ্ট বর্ণনায় বলেন না যে, রাসুল মুহাম্মদ বা নবী মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহ। আমরা যখন সালাতে বসা অবস্থায় দরুদপাঠ করি তখন বলি আল্লাহ হুম্ম সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়ালা আলে মুহাম্মদ— এখানে মুহাম্মদ সাঃ এর নামটি সরাসরি দরুদপাঠে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে পক্ষান্তরে রাসুলের সুন্নাহ বা নবীর সুন্নাহ বললে কি তা মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যুক্তি সংগতিপূর্ণ উত্তর আশা করা যায়?
আমার এই আলোচনার মুল উদ্দেশ্য হলো আমাদের মুসলিম জাতি সমাজে অসংখ্য অসংখ্য কুরআন পরিপন্থি কাঠমোল্লা দের রচিত জাল হাদিসকে আল হাদিস বানিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। প্রচলিত আছে যাহা আল কুরআনের বাণীর সাথে কোনো প্রকার সাদৃশ্য তো নেই উপরন্তু হাদিস গুলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস নষ্ট কারী বিষাক্ত বর্জ্য হিসাবে প্রমাণিত।

মুহাম্মদ সাঃ এর কিছু প্রকৃত সুন্নাহ হলো তিনি ক্ষুধার তাড়নায় পেটে পাথর বেঁধে দ্বীনের পথে সংগ্রাম করেছে, তাঁর জীবনে ৭৮ টি যুদ্ধের মধ্য ২৭ টি যুদ্ধে তলোয়ার হাতে দ্বীনের দায়িত্ব নিয়ে মুশকিলদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে তলোয়ার ধরেছে কিন্তু দেখা যায় আমাদের দেশের আলেমদের চোখে এ-সব সুন্নাহ না। তাদের কাছে সুন্নাহ হলো, পেটে পাথর বাধাঁর পরিবর্তে মিষ্টি খাওয়া, তলোয়ারের পরিবর্তে মিসওয়াক করা। নবী মুহাম্মদ সাঃ কখনোই খাবারের তালিকায় তিন প্রকার এর অধিক
আইটেম বা পেটপুরে খাবার গ্রহণ করেছেন এমন কোনো সুন্নাহ মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী তে পাওয়া যায়না। অথচ দেখা যায় আমাদের দেশে মৃত লাশকে কুরআন শুনানো ও জানাজার সালাত পড়ে সংসার খরচ চালানো সুন্নাহভিত্তিক শাস্ত্রচর্চার তাহেরী মার্কামারা ডায়ালগ ওয়ালা অন্তরে ব্যাধি যুক্ত একশ্রেণির অহংকারী আলেম গণ মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহ তো অনুসরণ করেই না উল্টো একপক্ষের বিরুদ্ধে অপর পক্ষ কাদা ছুটাছুটি ও দ্বীন ইসলাম কে পানিঘোলা করতে ব্যস্ত।
জাল হাদিস কে সঠিক ও সর্বাঙ্গীণতায় বিশুদ্ধতা প্রমাণের জন্য তাদের পক্ষে আল কুরআন এর ৩৩ আহজাব এর আয়াত ৩৬ কে দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করেন। এ আয়াতে আল্লাহ বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করলে সে নিশ্চিতই পথভ্রষ্ট
এই আয়াত কে ভরসা ও অবলম্বনে সত্যের সাথে হাজারো মিথ্যা ভিত্তিহীন দুর্বল হাদিস কে যুক্ত করা হচ্ছে কুরআনের বাণীর বিপরীতে। অথচ যাদের মুখ থেকে শুনা বাণী কে মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে তাদের চরিত্র নিয়ে মহান আল্লাহ কুরআনের পরতে পরতে আলোচনা করেছে। তারা কখনো যুদ্ধে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করেছেন, কখনো যুদ্ধে অর্জিত সম্পদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে, কখনো মা আয়েশার চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটনা করেছে। নূর,এ আল্লাহ বলেন, আয়েশা’র বিরুদ্ধে যারা চরিত্রহীনতার মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে তারা তো তোমাদেরই লোক ২৪-১১।
[ হিজরি ৫ সালে মুহাম্মদ সাঃ মুসতালিক গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে ফেরার পথে মা আয়েশা (রা) ঘটনাচক্রে একা পেছনে পড়ে যান। কয়েকঘন্টা পর এক সাহাবী তাঁকে দেখতে পেয়ে শিবিরে নিয়ে আসেন। তখন সাহাবিদের মধ্য কেউ কেউ মা আয়েশা’র চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটনা করে। সূরাহ নূর এর ১১-২০ আয়াতে আল্লাহ মা আয়েশা’র বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অপবাদ – সম্পর্কিত বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে সকল কালের সকল সমাজ – পরিবেশে এ ধরনের ক্ষেত্রে বিশ্বাসী দের করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক- নির্দেশনা দিয়েছেন। ]সুতরাং নানা ঘাট উৎরানো মুখের শুনা কথায় কর্ণপাত করে রচিত হাদিস আর সরাসরি জিবরাইল হাফিজের মাধ্যমে প্রেরিত ঐশী বাণীর মধ্য আকাশ কুসুম তফাৎ থাকা অবাস্তব ধারণা নয়।
জাল হাদিস বুঝবার সহজ পথ:-
জাল হাদিস বুঝবার সহজ পন্থা হলো সর্বপ্রথম আল কুরআন কে নিজের মাতৃভাষায় বুঝেশুঝে পাঠ করা এবং দ্বিতীয় পন্থা হলো পুরো কুরআন এর আয়াত সমূহ নিজের মধ্য আয়ত্ত করা।
তখন আপনি সহজেই বুঝতে সক্ষম হবেন যে মুহাম্মদ সাঃ কখনোই আল কুরআন এর পরিপন্থি হাদিস বর্ণনা করতে পারে না। যে সমস্ত হাদিস সমূহ কুরআনের বাণীর সাথে সংগতি পূর্ণ সেই সব হাদিসেই হলো প্রকৃত সহীহ্ হাদিস। তাছাড়া ডক্টর খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর “হাদিসের নামে জালিয়াতি” ডক্টর মুফতি ইমাম হোসাইন এর জাল হাদিস নিয়ে ইউটিউবে আলোচনা গুলো শুনলেই বিষয় টা পরিস্কার বোঝা যাবে।
আল্লাহ বলেন হে মানুষ তোমরা তোমাদের সহজাত বিচার বুদ্ধিকে প্রয়োগ কর আল কুরআন। ( এই কথা টি ২১ বার এসেছে সমগ্র কুরআনে)।
কুরআন এবং হাদিসের পার্থক্য বুঝতে জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য আমার নিম্নের দুটি উদাহরণ যথেষ্ট।

ক) কুরআন সরাসরি জিবরাইল হাফিজের মাধ্যমে বিশ্ব বনী মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে প্রেরিত আয়াত সমূহ।
অপরদিকে হাদিস মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর প্রায় দুই শত দশ বছর পরে বিভিন্ন সাহাবিদের তিন পুরুষ চার পুরুষ গত হওয়া উত্তরাধিকার দের থেকে সংগ্রহ করা মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী।

খ) কুরআন বিশ্ব বনী মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে প্রেরিত আয়াত সমূহ কে সমষ্টি করা হলেও শিরোনামে মুহাম্মদ সাঃ এর কোনো ভুমিকা রাখেনি পক্ষান্তরে প্রত্যেক হাদিস সংগ্রহ কারী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু দের কিতাবে তাদের নিজ নামের সাথে বাপদাদার পরিচয় ও তুলে ধরা হয়েছে।
যথা বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ,সুনানে তিরমিজি শরীফ, সুনানে আবু দাউদ শরীফ, সুনানে নাসায়ি শরীফ, সুনানে ইবনে মাজাহ। এভাবেই প্রত্যেক হাদিস শরীফের শরিকানায় তাদের নিজেদের চৌদ্দ পুরুষদের জাহির করা হয়েছে।

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, আমি পৃথিবী ও মহাকাশে যাঁহা কিছুই আছে তার সবকিছুই আমি এই কুরআনে যুক্ত করেছি।
এরপরও আমরা বলি হাদিস ব্যতীত কুরআন অচল। অর্থাৎ আমাদের না বুঝবার ব্যর্থতা টা ভিন্নভাবে ঢাকার চেষ্টা করি তাহলে এমন জ্ঞান পাপী মানুষদের জন্যে হেদায়েত প্রার্থনা ছাড়া আর কিছুই বলার থাকেনা।

অতঃপর আর সত্যের বাণী সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে বিশ্বাসী দের দায়িত্ব ( ইয়াসিন ৩৬- ১৭)

লেখক আবদুল হাকিম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button