আজ পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ

রজব মাসের ২৭ তারিখ, অর্থাৎ ২৬ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাত। যে রাতে রাসূলে পাক দঃ মিরাজের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
যেহেতু মিরাজের রাতে নামাযের নির্দেশ হয়েছে তাই নামাজকে ‘মিরাজুল মুমিমিন’ বা মুমিনের মিরাজ বলা হয়।
ঐ রাতে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যা পালনের মাধ্যমে বান্দা নিজেকে পরিপূর্ণ পবিত্র করতে সক্ষম হবে।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) এবং হযরত সালমান ফারসি (র.) বর্ণনা করেন রাসূলে পাক (দ.) ইরশাদ করেন-
قال رسول الله صلي ﷲ عليه وسلم ان في رجب يوما وليلۃ من صام ذالك اليوم و قام تلك اليلۃ كان له من الاجر كمن صام ماءۃ وقام لياليها وهی لثلاثۃ یبقين من رجب-
অর্থাৎ নিশ্চই রজব মাসের মধ্যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং রাত রয়েছে যে ব্যাক্তি ঐ দিনে রোযা পালন করবে এবং রাতে জাগ্রত থেকে সারারাত ইবাদত করবে সেই ব্যাক্তির আমলনামায় ঐ পরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে যে ব্যাক্তি ১০০ বছর দিনে রোযা এবং রাতে নফল ইবাদত করে পাবে। আর সেই মহান দিন এবং রাতটি হল রজব মাস শেষ হওয়ার তিন দিন পূর্বে অর্থাৎ ২৭শে রজব।
গুনিয়াতুত তালেবিন, লেখক-গাউসে পাক (রা.)। পৃষ্ঠা -২৩৪।
বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শাহ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিস দেহলভী রহ. বলেন- যে ব্যাক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ অর্থাৎ ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে নিম্নের তরতিব অনুযায়ী ১২ রাকায়াতে নফল নামায আদায় করবে অর্থাৎ প্রত্যেক রাকায়াতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর
১০০ বার
سبحان ﷲ و الحمد لله والله اكبر
পড়বে এবং নামায শেষ করে ১০০ বার এস্তেগফার ও দরুদ শরীফ পড়বে,অতঃপর দিনের বেলায় রোযা রাখবে আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যাক্তির জিবনের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দান করবেন।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে মহিমান্বিত রজনীতে ইবাদত করার তৌফিক দান করুক,আমিন।