জাতীয়

আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহর জবাবদিহিতায় আইসিসিরসাথে সমন্বয়ের আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির বিরুদ্ধে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর সাথে সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ সরকারের নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতের সাথে সমন্বয় করে আরসা প্রধানের ‘যুদ্ধাপরাধ’ তুলে ধরা উচিত।

গত ১৮ মার্চ ঢাকায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের করে ফর্টিফাই রাইটস। সেদিনই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান ঢাকার উপকণ্ঠে নারায়ণগঞ্জ থেকে আতাউল্লাহ ও বেশ কয়েকজন আরসা নেতাদের গ্রেপ্তার করে।

“আরসা কমান্ডার-ইন-চিফ (প্রধান) হিসেবে, আতাউল্লাহ আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের নির্দেশ এবং তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী। যার মধ্যে রয়েছে লক্ষ্য করে হত্যা, অপহরণ ও রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন,” বলেছেন ফোর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ।

তিনি বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বাংলাদেশ আতাউল্লাহ ও অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছ। আমরা আইসিসির প্রসিকিউটরকে আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে দ্য হেগে মামলা করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”

এদিকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আতাউল্লাহ ও আরসা’র অন্যান্য সদস্যদের বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অন্যান্য অপরাধের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১৮ মার্চ ফর্টিফাই রাইটস প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরসাসহ রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা কীভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও হুমকি দিয়েছে তা তুলে ধরা হয়—যা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি।

এদিকে, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বেনারকে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “আমরা (বাংলাদেশ সরকার) সব সময় রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও অনান্য সংস্থাকে সহযোগিতা করি, সমন্বয় করি।”

“অতীতের যে কোনও কর্মকাণ্ডের মতো, নতুন দাবির (সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে গণহত্যার অপরাধে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করা) বিষয়ে জাতিসংঘসহ অনান্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা চাইলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমরা বিষয়টি জেনে রাখলাম,” বলেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button