মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন,ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের নিন্দা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের সামনে রোববার বিকেলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের করা সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার রাতে পৃথক বিবৃতিতে উভয় ছাত্র সংগঠন জানিয়েছে,
মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে বলে মনে করে তারা।
এর আগে রোববার বিকেলে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রশিবির। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন,
ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে।
শিবিরের দাবি, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে ছাত্রদল অন্যায়ভাবে দমনের চেষ্টা করছে। নিজেরা সন্ত্রাসী কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে দায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও
অভিযোগ করা হয়।
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে (মধু দা নামে সুপরিচিত)। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে গণহত্যায় তিনি শহীদ হন।”
“জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদার হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, পরবর্তী সময়ে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ নামে পরিচিতদের নিতে হবে,” বিবৃতিতে বলা হয়।
এই মধুর ক্যান’টিনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকে শহীদ মধুদা ও তাঁর পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক বলেও মনে করে ছাত্রদল।
লিখিত বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, “শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেক বোধ থেকেই ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যানটিনে আসা উচিত নয়।
মধুর ক্যানটিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পৃথক বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি (একাংশ) মাহির শাহরিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।
বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন বলেছে, মধুদার ঘাতক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ইসলামী ছাত্রশিবির মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা স্বাধীনতাকামী ও প্রগতিশীল ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।