জাতীয়

দুর্ঘটনা নয় শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট, পলকের স্বীকারোক্তি

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সেবা কোনো দুর্ঘটনায় বন্ধ ছিল না, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারের এখতিয়ার নিয়ে আবেদন করে জিয়াউল আহসান ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। তবে জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিন জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ সাত কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button