বিনোদন

আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না: সুশান্তের বাবা

বলিউডে প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পাঁচ বছর হতে চলেছে। তবে এখনো তার মৃত্যুর রহস্য অজানাই রয়ে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে যে, তাদের ছেলে আত্মহত্যা করেনি, বরং তাকে খুন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিং। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, তার ছেলে কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। সেই সঙ্গে তিনি মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের অধীনে বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ আস্থা রাখেন বলেও জানান। বুধবার পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেকে সিং জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে, স্থানীয় বাসিন্দারা তার ছেলের মৃত্যুর আসল কারণ জানেন এবং আদালতে তিনি সঠিক বিচার পাবেন।

প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা বলেন, পাটনার মানুষ জানে কী ঘটেছিল। আদালতে সত্যটাই বেরিয়ে আসবে।

এদিকে বুধবার মুম্বাই হাইকোর্টে নির্ধারিত শুনানির দিনে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলাটি পুনঃতদন্তের দাবি উঠেছে। আবেদনে শিবসেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরেকে গ্রেফতার এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে সুশান্ত এবং তার সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০২০ সালের জুনে সুশান্ত সিংকে তার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক রিপোর্টে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হয়। অভিনেতাকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তবে উদ্ধার করার সময় দেখা যায় তার ঘরের দরজা ভাঙা ছিল এবং তিনি রুমের ভেতর ঝুলছিলেন। পুলিশ তাদের প্রাথমিক রিপোর্টে তখন জানায়, সুশান্ত গত ছয় মাস ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। সুশান্ত সিং রাজপুত তার অনবদ্য অভিনয়ের কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যদিও তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ছোট পর্দার মাধ্যমে।

‘পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন, এরপর তিনি বড় পর্দায় পা রাখেন। ‘কায় পোচে’ সিনেমায় অভিনয় করে সুশান্ত একটি ছোট শহরের ছেলে থেকে রাতারাতি গোটা ভারতে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। আর ‘এমএস ধনি’ সিনেমাটিতে তার অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে যায়। অভিনেতার শেষ সিনেমা ‘দিল বেচারা’ তার মৃত্যুর পর মুক্তি পায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button