ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে এক সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজনকে আটক

ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে এক সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে তাঁদের আটক করে সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাঁদের রাজশাহী রেলওয়ে থানায় রাখা হয়।
আটক তিনজন হলেন ঢাকা-রাজশাহী রুটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আতিকুর রহমান, অ্যাটেনডেন্ট মনছেহার আলী ও মো. মনির। সর্বশেষ (আজ দুপুর পর্যন্ত) পাওয়া তথ্যমতে, তাঁদের রেলওয়ে থানায় রাখা হয়েছিল। তাঁদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একজন সেনাসদস্য গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিলেন। আসন না পাওয়ায় তিনি আসছিলেন স্ট্যান্ডিং টিকিটে। শারীরিকভাবে অসুস্থ ওই সেনাসদস্য রেলওয়ের কর্মীদের অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে বসানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু রেলকর্মীরা তাঁকে বসানোর ব্যবস্থা করেননি। ওই সেনাসদস্য লক্ষ্য করেন, বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁর কাছে স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকলেও তাঁকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। ট্রেনে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় রেলওয়ের কর্মীরা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন।
ট্রেনে ওই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেলেও ট্রেনটি রাজশাহী আসার পর প্ল্যাটফর্মে নেমে আবার ওই সেনাসদস্যকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এরপর রেলওয়ের ওই কর্মীরা চলে যান। পরে খবর পেয়ে রাতেই রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেনাবাহিনী।
রাজশাহী রেলস্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন জানান, সকালে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ডিউটির জন্য রেলওয়ের ওই গার্ড এবং অ্যাটেনডেন্টরা স্টেশনে আসেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘আটক তিনজনকে থানায় রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হয়তো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।’