Uncategorized

নোয়াখালীতে ‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশ’ এর সহায়তায় কোডেক- এর উদ্যোগে ৭৫০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র বিতরণ

সম্প্রতি নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ফ্লাড রেসপন্স প্রজেক্ট-২০২৪’ প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র ৭৫০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছে ‘কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-কোডেক’।

অস্ট্রেলিয়ান হিউম্যানিটেরিয়ান পার্টনারশীপ (AHP) এর অর্থায়নে ‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশ’ এর সহযোগীতায় গত ১৭,১৮ ও ১৯শে ডিসেম্বর তিনদিন ব্যাপী নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া, আন্ডারচর ও কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্র এসব পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে কোডেক। এর আগে সুবিধাভোগী প্রত্যেকের অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ নাম্বারে ৬ হাজার টাকা করে অনুদান পাঠানো হয়।

এওজবালিয়া ইউনিয়নের বিবি ফাতেমা নামের সুবিধাভোগী এক নারী বলেন, “আমরা এ বছরের বন্যায় ঘর-বাড়ি সব হারিয়েছি। আমাদের মানবেতর জীবন-যাপনের কথা শুনে কোডেক এনজিও’র কর্মকর্তারা নাম লিষ্ট করে আমাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওনারা প্রথমে আমাদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। পরে আবার ৩টি করে কম্বল দিয়েছেন। আমরা এসব উপহার পেয়ে খুবই আনন্দিত”।

আন্ডাচর ইউনিয়নের সচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, “এই ইউনিয়নের ৬০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। নদী ভাঙ্গনের কারণে এখানকার মানুষ বেশি অসহায়। এ অঞ্চলের মানুষদের মাঝে আশীর্বাদ হয়ে কোডেক এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ,এর কর্মকর্তাগণ এগিয়ে আসায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি”।

প্রজেক্ট অফিসার শর্মী আক্তার বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমাদের প্রচেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবনে সত্যিকারের পরিবর্তন আনবে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রকল্পের এই ধাপ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা আশা করি যে, আমাদের কাজ প্রভাবিত কমিউনিটিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন ও স্থিতিস্থাপকতায় সহায়তা করবে। আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সময়মতো ও কার্যকর সহায়তা প্রদান করা, এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাগুলি সুবিধাভোগীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে”।

প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, “আমরা অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, এর সহায়তায় কোডেক-এর মাধ্যমে নোয়াখালী সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে প্রকৃত হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রান সহায়তা পৌঁছে দিতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, কোডেক এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ’এর সহায়তা একদিকে যেমন বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ দিয়েছে অন্যদিকে তাদের জীবনে আশার আলো ফিরিয়ে আনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে”।

সিনিয়র ফাইনান্স অফিসার মো. রাফায়েদ চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত সুন্দরভাবে আমরা এই প্রকল্পের কাজ করার চেষ্টা করছি। আর্ত-মানবতার সেবায় কোডেক এবং ‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশ’ সবসময় কাজ করবে”।

জানা যায়, সিনিয়র ফাইনান্স অফিসার মো. রাফায়েদ চৌধুরী ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আকমল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ে ‘বাংলাদেশ ফ্লাড রেসপন্স প্রজেক্ট-২০২৪ ’এর কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন প্রজেক্ট অফিসার মো. মজিবুর রহমান, প্রজেক্ট অফিসার শর্মী আক্তার, প্রজেক্ট অফিসার মো. হারুনুর রশীদ, ফাইনান্স & লজিস্টিক অফিসার মো. শাহজাহান হোসাইন, ফিল্ড ফ্যাসিলেটর শারমিন আক্তার,ফিল্ড ফ্যাসিলেটর
মো. জাকিরুল ইসলাম ও ফিল্ড ফ্যাসিলেটর মুশতাক নাদিম মাহি।

মাহমুদ ফয়সাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button