ক্যাম্পাস বার্তা

নোবিপ্রবি সালাম হলের খাবারের গুনগত মান নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ প্রকাশ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের খাবারের গুণগত মান দিন দিন হ্রাস পাওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ডাইনিং পরিচালনায় হল প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না বলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

হলের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ডাইনিংয়ে শুরুর দিকে খাবারের মান কিছুটা ঠিক থাকলেও খাবারের মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রতি বেলার খাবারে স্বাদহীনতা, স্বাস্থ্যসম্মত উপাদানের অভাব এবং অপর্যাপ্ত পরিমাণের কারণে অসন্তোষ বাড়ছে। খাবারের মান বাড়ানো এবং এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন প্রণয়ন এবং কঠোরভাবে তা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হল প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত দামের মূল্য তালিকা অনুযায়ী মুরগীর মাংসের দাম ৫০ টাকা। তবে ডাইনিংয়ে মুরগীর মাংসকে বিভিন্ন মানদণ্ডে ভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যে তার সাথে কমিয়ে ফেলা হয়েছে মাছ, মাংসের আকারে পরিমাণ। ভাতের অবস্থা যেন আরও শোচনীয়, মানহীন ও খাওয়ার অযোগ্য। এছাড়াও ভাতের সাথে ভর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটাও দেওয়া হচ্ছে না।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমান হোসাইন বলেন, যখন মুরগীর দাম ৬০ টাকা ছিলো তখন ভালোভাবে রান্না করতো এবং মুরগীর একটাই আইটেম রাখা হতো কিন্তু ৫০ টাকা করে দেওয়ার পর উনি একই মুরগীকে তিন অংশে ভাগ করেছে। প্রথমত, দুপুরে মুরগীর রানের মাংসগুলো আলাদা করে মোরগ-পোলাও বিক্রি করে ৮০ টাকায় আবার রাতে মুরগীর হাড়ের মাংসগুলো দিয়ে কালাভুনা বিক্রি করে ৭০ টাকায়। বাকি মাংস যেগুলোর চাহিদা তুলনামূলক কম সেগুলো ৫০ টাকায় বিক্রি করে। এর মানে হচ্ছে একজন শিক্ষার্থী ৫০ টাকায় কখনই মাংসের ভালো অংশ পাবে না এবং মান খারাপ হওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে মোরগ-পোলাও বা কালাভুনা খেতে হচ্ছে।

হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আগের দিনের বাসি মাছ দিয়ে উনি সবজি রান্না করেন আবার যদি বাসি ভাত থাকে সেটা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে রান্না করে যেটায় পানি উঠে যায় যা খাবারের একদমই উপযোগী নয়। ভাতের সাথে ভর্তা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা একদম অল্প পরিমাণ বানায় যাতে স্যাররা পরিদর্শনে আসলে দেখাতে পারে। আমরা চাই, স্যাররা যেন আমাদের সাথে একবেলা খায় তাহলে বুঝতে পারবে আমাদের কি খাওয়ানো হচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রভোস্ট ও ডাইনিং উপ-কমিটির আহ্বায়ক কামারুজ্জামান বলেন, আমি যেই দিন পরিদর্শনে যাই সেদিন খাবার ভালো দেয় এবং আমরা বলার পর কিছুদিন ভালো থাকে তারপর আবার অভিযোগ আসে। যেহেতু আমরা সবসময় থাকিনা শিক্ষার্থীরাই খায় সেই ক্ষেত্রে যদি খাবারের মান খারাপ হয় তাহলে তারা তাকে পেশার দিবে। আর যদি শিক্ষার্থীরা নিজেরা ডাইনিং চালাতে চায় তাহলে আমরা তাদের হাতে দিয়ে দিবো।

আরও পড়ুন: নোবিপ্রবি ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রধান ফটকে সাটানো পোস্টার অপসারণ

এই বিষয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আমরা তো খাবারের দাম এবং মান নির্ধারণ করে দিয়েছি সে যদি সেটা না মানে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো কালকে আমাদের মিটিং আছে সেখানে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button