ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

শেখ হাসিনা আত্মসমর্পণ করলে আপিলের সুযোগ আছে : চিফ প্রসিকিউটর



শেখ হাসিনা আত্মসমর্পণ করলে আপিলের সুযোগ আছে : চিফ প্রসিকিউটর
ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক অবস্থায় তাদের সাজা চ্যালেঞ্জ করার কোনো আইনি অধিকার রাখেন না। আপিল করতে হলে তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আসামিরা চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কোনো পলাতক আসামি তা করতে পারে না, কারণ ফেরার অবস্থায় কারো কোনো আইনি অধিকার নেই।

আপিল করতে হলে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে। শুধু তখনই তারা সুপ্রিম কোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। আত্মসমর্পণ না করলে আপিলের অধিকার হারাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘পলাতক অবস্থায় আপিল করার সুযোগ বাংলাদেশে শুধু নয়, বিশ্বের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী আজকের রায় ঘোষণার দিন থেকেই ৩০ দিনের মধ্যে তারা আপিল করতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ করলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দাখিল করতে পারবে এবং আদালত ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে।

চিফ প্রসিকিউটর আরো জানান, ‘আইনকে সম্মান জানিয়ে যদি তারা আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে যুক্তি ও প্রমাণ পেশ করার সুযোগ পাবেন। আইন তার নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।

গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিটি আজ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে।

মামলার তৃতীয় আসামি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পান এবং তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


শেখ হাসিনা আত্মসমর্পণ করলে আপিলের সুযোগ আছে : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশের তারিখ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক অবস্থায় তাদের সাজা চ্যালেঞ্জ করার কোনো আইনি অধিকার রাখেন না। আপিল করতে হলে তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আসামিরা চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কোনো পলাতক আসামি তা করতে পারে না, কারণ ফেরার অবস্থায় কারো কোনো আইনি অধিকার নেই।

আপিল করতে হলে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে। শুধু তখনই তারা সুপ্রিম কোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। আত্মসমর্পণ না করলে আপিলের অধিকার হারাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘পলাতক অবস্থায় আপিল করার সুযোগ বাংলাদেশে শুধু নয়, বিশ্বের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী আজকের রায় ঘোষণার দিন থেকেই ৩০ দিনের মধ্যে তারা আপিল করতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ করলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দাখিল করতে পারবে এবং আদালত ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে।

চিফ প্রসিকিউটর আরো জানান, ‘আইনকে সম্মান জানিয়ে যদি তারা আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে যুক্তি ও প্রমাণ পেশ করার সুযোগ পাবেন। আইন তার নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।

গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিটি আজ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে।

মামলার তৃতীয় আসামি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পান এবং তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত