রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াহিদা বেগমের
নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা রিটের বিপরীতে রোল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। আদালত অবমাননাসহ নিয়ম-নীতি
অমান্যের অভিযোগ রয়েছে ওয়াহিদা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে
নতুন করে রাকাবে আওয়ামীপন্থিদের পুনর্বাসনের অভিযোগও।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাকাবে ওয়াহিদা বেগমের নিয়োগ
চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালতে রিট হয়েছে। এ
নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে পরে রোল জারি করেন উচ্চ আদালত।
আদালতের নির্দেশে জানানো হয়,
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক জারি করা বিতর্কিত নিয়োগ পত্র
নম্বর ৫৩.০০.০০০০.৩১২.১২.০০৪.২০-৯২, তারিখ : ২৭.০২.২০২৫-এর মাধ্যমে রাজশাহী কৃষি
উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ওয়াহিদা বেগমকে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) ২০২৪ সালের ২৭
ফেব্রুয়ারির সার্কুলার নম্বর-৫ ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ/নিযুক্তি এবং তার দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত নীতিমালার
শর্তাবলি অনুসরণ না করে করা হয়েছে, তা আইনগত ক্ষমতা ছাড়া করা বলে ঘোষণা করা না
হওয়ার কারণ ৩ সপ্তাহের মধ্যে দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর
আগে, গত ২২ অক্টোবর রাকাবের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের
সচিব বরাবর এমডির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে এমডির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও
দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়।
একইসঙ্গে
এমডিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত
অপসারণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রণালয়ের
প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে ওয়াহিদা বেগম রাকাবে বদলি
হয়ে আসেন। তার আগে তিনি অগ্রণী ব্যাংক পিএলসিতে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ ছিল।
এনিয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়। ওই ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ওয়াহিদা
বেগমসহ অগ্রণী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে আদালত আদেশ অমান্য করার দায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড
দেন উচ্চ আদালত।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াহিদা বেগমের
নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা রিটের বিপরীতে রোল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। আদালত অবমাননাসহ নিয়ম-নীতি
অমান্যের অভিযোগ রয়েছে ওয়াহিদা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে
নতুন করে রাকাবে আওয়ামীপন্থিদের পুনর্বাসনের অভিযোগও।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাকাবে ওয়াহিদা বেগমের নিয়োগ
চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালতে রিট হয়েছে। এ
নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে পরে রোল জারি করেন উচ্চ আদালত।
আদালতের নির্দেশে জানানো হয়,
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক জারি করা বিতর্কিত নিয়োগ পত্র
নম্বর ৫৩.০০.০০০০.৩১২.১২.০০৪.২০-৯২, তারিখ : ২৭.০২.২০২৫-এর মাধ্যমে রাজশাহী কৃষি
উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ওয়াহিদা বেগমকে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) ২০২৪ সালের ২৭
ফেব্রুয়ারির সার্কুলার নম্বর-৫ ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ/নিযুক্তি এবং তার দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত নীতিমালার
শর্তাবলি অনুসরণ না করে করা হয়েছে, তা আইনগত ক্ষমতা ছাড়া করা বলে ঘোষণা করা না
হওয়ার কারণ ৩ সপ্তাহের মধ্যে দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর
আগে, গত ২২ অক্টোবর রাকাবের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের
সচিব বরাবর এমডির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে এমডির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও
দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়।
একইসঙ্গে
এমডিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত
অপসারণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রণালয়ের
প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে ওয়াহিদা বেগম রাকাবে বদলি
হয়ে আসেন। তার আগে তিনি অগ্রণী ব্যাংক পিএলসিতে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ ছিল।
এনিয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়। ওই ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ওয়াহিদা
বেগমসহ অগ্রণী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে আদালত আদেশ অমান্য করার দায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড
দেন উচ্চ আদালত।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
.png)
আপনার মতামত লিখুন