শিশির পন্ডিতের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতন ও পরীক্ষায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী শিশির পন্ডিতের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতন ও ক্লাস টেস্ট পরীক্ষায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান।
শনিবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী ঔ শিক্ষার্থী।

অভিযোগ পত্রে ঔ শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে আমি নতুন নোয়াখালী আসি। কোথায় উঠব বুঝতে পারছিলাম না। পরে ইসলামি হেরিটেজ নামে নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মেসে উঠি। সেখানে দেখি, শিশির-শাহজাহান নামের দু’জন ছাত্রলীগের একটি রাজনৈতিক গ্যাং মেস চালাতো।ভুল বসত আমার মত অনেকেই এদের ফাদে পড়ে গেছিলাম। আমাদের ২০২০ সালের প্রথম ২-৩ মাস কি মানসিক ট্রমার মধ্যে রাখতো একমাত্র আমরা ১৫তম ব্যাচের যারা ইসলামি হেরিটেজ উঠছিলো তারা জানে।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন, আমার মার্চের ৮ তারিখ অনার্স জীবনের প্রথম সিটি (পরীক্ষা) ছিল। ৭ তারিখ আমি পড়তে বসি, কারণ আমি দেরিতে ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছিলাম। সকালবেলা পড়ার মাঝেই শিশির (পুরো নাম-শিশির চন্দ্র পণ্ডিত, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ, সেশন-২০১৮-১৯) আমাকে ডেকে বলে— “আজ ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম আছে, (শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষন) ওমুক বড় ভাই ,অনেক বড় নেতা আসবে।” (পরে জানতে পারি, সে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডার নজরুল ইসলাম নাঈম)।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমি বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলি যে, আমার পরীক্ষা আছে, তাই যেতে পারব না। কিন্তু শিশির বলে, “পরীক্ষার চেয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” পরিক্ষা অনেক দেওয়া যাবে। একপ্রকার জোর করেই আমাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় এবং সারাদিন হলে আটকে রাখে। বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা বললে আামকে মানসিক নির্যাতন করে। যেহেতু নতুন ছিলাম তাই মুখ বুজে থাকি, কিছু বলতে পারি নাই।
রাত ১০টায় বাসায় ফিরে আসি, কিন্তু সারাদিন এর ক্লান্তি জন্য তখন আর পড়তে পারিনি। ফলে পরের দিন আমার অনার্স জীবনের প্রথম সিটি পরীক্ষাটি দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো উল্লেখ করেন, শিশির অনেক আগে থেকেই (২০১৯) ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডার নজরুল ইসলাম নাঈমের রাজনৈতিক কার্যক্রম করতো এবং এভাবে জুনিয়রদের দিয়ে রাজনীতি করাতো। আমার অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করে অতি দ্রুত শিক্ষার্থী নিপীড়নকারী সন্ত্রাসী এই শিশির পন্ডিতের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।