তিন সচিব, ১৭ অতিরিক্ত সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

সরকার সম্প্রতি তিনজন সচিব এবং ১৭ জন অতিরিক্ত সচিবসহ মোট ২২ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, এই কর্মকর্তাদের নেতিবাচক ভূমিকার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তিন সচিব হলেন:
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোরশেদ জামান
অতিরিক্ত সচিবদের মধ্যে রয়েছেন:
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোখলেসুর রহমান সরকার
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মোহাম্মদ শফিউল আরিফ
বিদ্যুৎ বিভাগের ফয়েজ আহাম্মদ
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের মো. তোফায়েল ইসলাম
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটিডি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাব্বী মিয়া
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আলম
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মো. আব্দুল আওয়াল
বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও কারিগরি তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্রের (ব্যান্সডক) মহাপরিচালক মো. শওকত আলী
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তন্ময় দাস
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এনামুল হাবীব
পরিকল্পনা বিভাগের আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. হামিদুল হক
এছাড়া, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির (উপসচিব)কেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, যেসব কর্মকর্তার চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম, তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে, আর যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।