ক্যাম্পাস বার্তা

বিপ্লবী মাস্টারদা’ সূর্যসেন-এর ৯১ তম ফাঁসি দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা কলেজ শাখার শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন ধারার বিপ্লবী মাস্টারদা’ সূর্যসেন-এর ৯১ তম ফাঁসি দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা কলেজ শাখার শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আজ ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫ বেলা ১১:৩০ টায় ঢাকা কলেজের আবু সাঈদ চত্বরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট , ঢাকা কলেজ শাখার উদ্যোগে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন ধারার বিপ্লবী মাস্টারদা’ সূর্যসেন-এর ৯১ তম ফাঁসি দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের ঢাকা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি নাহিয়ান রেহমান রাহাত।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মাস্টারদা’ সূর্যসেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সালমান সিদ্দিকী বলেন, “ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনও অস্ত যায়না’–এই দাবিকে মিথ্যে প্রমাণ করে এদেশের তরুনরা সূর্যসেনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করেছিল। এই ঘটনার পর ব্রিটিশ সরকার হন্যে হয়ে এই বিপ্লবীদের খুঁজতে থাকে। সূর্যসেনের মাথার দাম ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা। তবুও স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতার কারণে পুলিশবাহিনী দীর্ঘদিন সূর্যসেনের নাগাল পায়নি। কিন্তু ১৯৩৩ সালে সূর্যসেন পুলিশের হাতে ধরা পরেন। তাঁকে জেলখানায় বন্দি রাখা হয় এবং পরে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সূর্যসেন জানতেন সুসংগঠিত শাসকের সামনে তারা বেশিদিন টিকতে পারবেন না। তবুও তারা এই ঝুঁকি নিয়েছিলেন কেবলমাত্র এটা প্রমাণ করতে যে স্বল্প শক্তি নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়লাভ করা সম্ভব। প্রয়োজন কেবল সেই সাহস আর লড়াইয়ের দৃঢ়তা।
ব্রিটিশরা সূর্যসেনকে মারতে পারলেও তার চিন্তা, তার আদর্শকে মারতে পারেনি। স্বাধীন ভারতের যেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি লড়ে গেছেন, তা পরবর্তীতে লক্ষ লক্ষ তরুণ-যুবকদের প্রেরণা যুগিয়েছে। আজও সূর্যসেনদের লড়াই গাঁথা এদেশের মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। শুধু মিছিল-মিটিং স্লোগান নয়, রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে আমরা উন্নত সংস্কৃতি এবং উন্নত চরিত্র গড়ে তুলতে চাই।”

আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনে কলেজ শাখার সভাপতি নাহিয়ান রেহমান রাহাত বলেন, “সূর্যসেনকে স্মরণ করা মানে নিছক তাঁর ছবিতে ফুল দেয়া নয়, তাঁর জীবন সংগ্রাম ও লড়াইয়ের চরিত্রকে ধারণ করে আজকের যুগের সমাজ প্রগতির প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button