ক্যাম্পাস বার্তা

চুয়েটে “এক্টিভেশন প্রোগ্রাম অন ডিজিটাল স্কিল ট্রেইনিং” শীর্ষক ট্রেইনিং অনুষ্ঠিত

এআই ভিত্তিক বিশ্বের জন্য তরুনদের প্রস্তুত করতে হবে: চুয়েট ভিসি

চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “আগামীর পৃথিবীটি হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (এ.আই) ভিত্তিক প্রজন্মের বিশ্ব, তাই এ.আই ভিত্তিক বিশ্বের জন্য তরুনদের প্রস্তুত করতে হবে। অন্যথায় আমাদের পিছিয়ে থাকতে হবে। আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশই হল তরুণ। যেটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি সুবিধা। আর এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি তথা এআই এর সঙ্গে পরিচয় করাতে হবে। আমাদের তরুণদের চিন্তা, গবেষণা, বিচার বিশ্লেষণ, অনুধাবন ও উদ্ভাবন শক্তি বৃদ্ধি করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”

তিনি আজ ০৯ই জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ২০২৫ খ্রিঃ চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “এক্টিভেশন প্রোগ্রাম অন ডিজিটাল স্কিল ট্রেইনিং” শীর্ষক ট্রেনিংয়ে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ EDGE প্রজেক্ট, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং আইসিটি ডিভিশনের আয়োজনে ও চুয়েট আইআইসিটি এর সহোযোগিতায় ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট এন্ড ইকোনোমি (EDGE) প্রকল্পের আওতায় এই ট্রেনিং কার্যক্রম অনুষ্টিত হয়। এতে গেষ্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর EDGE প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (যুগ্ম সচিব) জনাব মো: সাখাওয়াত হোসেন ও প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর ও আইআইসিটি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। সঞ্চালনা করেন ইটিই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিশু মিত্র জ্যাকি ও মেহেরিন বিনতে আলম।

অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া আরও বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভল্যুশান মোকাবেলায় জনগোষ্ঠীকে যেসব দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন, তার প্রায় পুরোটাই নির্ভর করবে আমাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। এক্ষেত্রে পাঠ্যবইকেন্দ্রিক শিক্ষাক্রম চিন্তা থেকে বের হয়ে কর্মনির্ভর ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাকে (আউটকাম বেইজড এডুকেশন) গুরুত্ব দিতে হবে। মুখস্থ করার পরিবর্তে আত্মস্থ, বিশ্লেষণ ও সূত্রের প্রায়োগিক দিক এবং উদ্ভাবনী শিক্ষাক্রম প্রণয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন ও মৌলিক অর্জনের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষণা, সরকার ও শিল্প খাতের মধ্যে সমন্বয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় আরো অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমাদের যেমন গণিত নিয়ে পড়তে হবে, তেমনি পড়তে হবে প্রযুক্তি, সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে। বাংলাদেশে উদ্ভাবনী জ্ঞান, উচ্চদক্ষতা, গভীর চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধান করার মতো দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করা এখন সময়ের দাবী।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button