চট্টগ্রাম

নাবিকদের গেজেট অনুযায়ী বেতন বোনাস পরিশোধ করুন

৭ নাবিক হত্যার প্রতিবাদ সভায়- এম. নুরুল হুদা চৌধুরী। নৌ-পথে শ্রমিক হত্যা ও জলদস্যুতা দমন করে নাবিকদের গেজেট অনুযায়ী বেতন বোনাস পরিশোধ করুন

চাঁদপুরের এম. ভি আল বাখারা জাহাজের ৭ নাবিক হত্যা, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে ইজারা দেওয়া, সারা দেশে নৌ-সেক্টরে জলদস্যুদের দ্বারা দিনে চাঁদাবাজি রাতে ডাকাতির শিকার হওয়া এবং কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, প্রশাসনেরও স্তরে স্তরে টোকেন চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে অদ্য ৩০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মাঝিরঘাট ৩নং ষ্ট্রান্ড রোড নবযুগ হলরুমে চট্টগ্রাম জল পরিবহণ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং- চট্ট ১৪৮৪ এর উদ্যোগে সংগঠনের সহ সভাপতি মো. আজাদ উদ্দিন সারেং এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুর উদ্দিন হোসেন মঞ্জুর সঞ্চালনায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, রেজি: নং: বি ২১৪৩ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশীদের কাছে ইজারা দেওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে। এটা হলে বন্দরের নিয়ন্ত্রণ আমাদের দেশে থাকবে না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, দেশের সব শ্রমিকদের ন্যুনতম একটি মজুরি ঘোষণা করা দরকার। এছাড়া বাজারের উচ্চ দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা করা জরুরি। নৌ-পথে সারাদেশে অহরহ চাঁদাবাজি ও ডাকাতেরা টাকা পয়সা না পেলে শ্রমিকদের উপর হামলা করে- এ খবরে কর্তৃপক্ষকে বিচলিত করে কিনা জানি না, তবে নৌ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে আতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা এতটাই নাজুক যে, মালিকেরা ডাকাত ও দুবৃর্ত্তদের ভয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে রাতের বেলায় কোন নৌ-যান নদীতে না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা জাহাজ নোঙ্গর করা অবস্থায় পেলেই ডাকাতেরা হানা দেয়। হামলাকারীরা ট্রলার ও স্প্রীডবোট নিয়ে জেলে সেজে এসে নৌ-যানগুলোতে উঠছে। আমরা হয়রানি ও পরবর্তী সময়ে হামলার ভয়ে মামলা করছি না। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জল পরিবহণ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাকসুদুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের সারেং, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক নুরুল হক সারেং, অর্থ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া সারেং, কার্যকরি সদস্য যথাক্রমে, মো. আব্দুল মালেক, জাহাঙ্গীর আলম সারেং, মো. হাসেম, মো. দিদার সারেং, মো. জাবেদ হোসেন, মো. ফারুক, মো. সুমন, শাহমীরপুর শাখার আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী মাস্টার প্রমুখ। বক্তারা ৭ নাবিক হত্যার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং তাদের পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। আহত নাবিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহ পুনর্বাসন দাবি করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button