রাজনীতি

দক্ষিণ এশিয়ার ১৫টি বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ বিবৃতি

ভারত বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মীয় সংখ্যালঘু সহ সমস্ত ধরনের সংখ্যালঘু মানুষের উপর নিপীড়ন এবং বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে দক্ষিণ এশিয়ার ১৫টি বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ বিবৃতি-

ভারত বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মীয় সংখ্যালঘু সহ সমস্ত ধরনের সংখ্যালঘু মানুষের উপর নিপীড়ন এবং বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে দক্ষিণয়ার বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ বিবৃতি-

“সাম্প্রতিক সময়ে ভারত, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভেদের রাজনীতি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সহ সমস্ত রকমের সংখ্যালঘু জনজীবনের উপর যে ব্যাপক আক্রমণ নামিয়ে আনছে, আমরা এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই দেশগুলিতে আমরা লক্ষ্য করছি যে, নয়া উদারনৈতিক পুঁজি তথা একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থে নিজ নিজ দেশের শাসক শ্রেণী বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতিকে প্রখরতর করছে। যা এই দেশগুলির সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। ভারতবর্ষে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং দলিত আদিবাসীদের উপর ধারাবাহিক হামলা, বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে সাম্প্রতিক সময়ে সেই দেশের বিভাজনকামী শক্তিগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নানান প্রান্তিক জনগণের উপর আক্রমণ শ্রমজীবী জনগণের জীবন ও জীবিকার সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। অন্যান্য দেশগুলিতেও এই বিভাজনকামী মৌলবাদী শক্তিগুলি শাসক শ্রেণীর মদতে শক্তি বৃদ্ধি করছে এবং যথেষ্ট সক্রিয় আছে। যে কোনও দেশের সংখ্যালঘু মানুষ সহ সমস্ত ধরনের বৈষম্যের শিকার জনগণের সমানাধিকার তথা জীবন জীবিকার ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অধিকার রক্ষার লড়াই গণতন্ত্রের অন্যতম বুনিয়াদী প্রশ্ন। সেই অধিকার আজ চ্যালেঞ্জের মুখে।

দেশগুলিতে পুঁজির মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী শক্তিগুলিই দেশ পরিচালনা করছে এবং স্বভাবতই নীপিড়ীত মানুষের ঐক্য বিনষ্টকারী বিভাজনের শক্তিগুলিকে মদত দিচ্ছে। তাই শাসক শ্রেণীর বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও পুঁজির শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আজ একাকার হয়ে গেছে। সমাজে সমস্ত প্রকার সংখ্যালঘু মানুষের অধিকারের লড়াই তথা বৈষম্য বিরোধী সমতার লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। দেশগুলিতে গণতন্ত্র ও সমানাধিকারের লড়াই করছেন যে সকল বামপন্থী ও প্রগতিশীল শক্তি, আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান থাকা প্রয়োজন। সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তা এবং সমানাধিকারের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের উপরেই রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থী সমাজ সহ গণতন্ত্রপ্রিয় ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল ও শ্রমজীবী সকল মানুষকে এই বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button