শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এবি পার্টির বিবৃতি
“মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে”—— এবি পার্টি
আজ ১৪ ডিসেম্বর; আজকের এই দিনে আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই সকল শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, যাঁদের আমরা হারিয়েছি স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত – অধ্যাপক জি সি দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, ড. আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামউদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সাহিত্যিক সেলিনা পারভীনসহ অনেককে।
এক বিবৃতিতে এবি পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার এবং সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রত্যেক শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যাঁরা দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে বয়ে চলেছেন আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ১৪ ডিসেম্বরকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসাবে ঘোষনা করেন।আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে জাতি আজও নানা মত ও পথে বিভক্ত। সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির সূচনা করার। আমার বাংলাদেশ পার্টির মূল শ্লোগান হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে উল্লেখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। এই ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে, তবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে। তাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠাই এবি পার্টির প্রথম দফা কর্মসূচী। এ লক্ষ্যে এবি পার্টি প্রস্তাব করেছে ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রেখে অধিকার ভিত্তিক এক নয়া রাজনীতির। এবি পার্টি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে ও সকল শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।