চট্টগ্রাম

দিনে জরুরি সনদ আর ৭ দিনে নিয়মিত সনদ তুলতে পারবেন চবি শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩ দিনে জরুরি সনদ আর ৭ দিনে নিয়মিত সনদ তুলতে পারবেন। আজ (৮ ডিসেম্বর, ২০২৪) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে ইমেইলিং সার্টিফিকেশন সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

ইমেইলিং সার্টিফিকেশন সেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনকালে চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভিত্তি ঠিক করতে পারি, তাহলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছুর আমূল পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট উঠানো বা অন্যান্য অফিসিয়াল একাডেমিক কাজ এনালগ পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। ডিজিটাল এ যুগে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা এনালগ পদ্ধতিতে কাজ করতে অনেক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এ কষ্টের কথা বিবেচনা করে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর অনলাইনে ফি জমা দেয়াসহ নানা ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি সম্মানিত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের বিভিন্ন শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘বিদেশে সার্টিফিকেট বা অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বহুকাল থেকেই সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা শেষ করে সার্টিফিকেট বা অন্যান্য কার্যক্রমে কোন ধরনের হয়রানি বা ঝামেলা পোহাতে হয়না।’

চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, আমরা ইমেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস নামে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সেবা চালু করেছি। এ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেটের জন্য জমাকৃত আবেদনের আপডেট জানতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী সনদের জন্য আবেদন করলে সেটি আমাদের কম্পিউটারে আসবে এবং তাকে ইমেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে, তার আবেদন সাবমিট হয়েছে। আমরা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে যদি দেখি সবকিছু ঠিক আছে, তবে তাকে জানানো হবে যে, তার আবেদন সফলভাবে সাবমিট হয়েছে। আবেদনে কোনো সমস্যা থাকলে আবেদনকারীকে সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় ভুল আছে। পরে তা সংশোধন করা হলে শিক্ষার্থীদের সনদ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়াই সনদ নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সনদ লেখক মাত্র দুইজন। যদি আরও একজন লেখক নিয়োগ দেওয়া যায় তবে কাজগুলো আরও সুন্দর হবে। এখনও আমাদের পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা পুরোপুরি সফলভাবে এ সেবা চালু করতে পারবো আশাকরি। এ সেবায় শিক্ষার্থীরা ৩ দিনের মধ্যে জরুরিভাবে সনদ তুলে নিতে পারবেন। তাছাড়া নিয়মিতভাবে সনদ তুলে নিতে তাদের মাত্র ৭ দিন সময় লাগবে।

অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা সনদের জন্য ১ মাস আগে আবেদন করে মনে করতো তাদের সনদ প্রস্তুত হয়ে গেছে। অনেক দূর থেকে এসে যখন দেখতো সেটা প্রস্তুত হয়নি, তখন কান্নাকাটি করতো। দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভোগান্তির শিকার হতো। এখন সেটা আর হবে না। একজন শিক্ষার্থী ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবে তাকে কোন তারিখে এসে সনদ তুলে নিতে হবে বা তার সনদ প্রস্তুত হয়েছে কিনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button