নোয়াখালীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন
‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্য-ই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মরহুম সিরাজুল ইসলাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আঙ্গিনায় নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে র্যালি, বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাড. এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো আবদুল্লাহ আল ফারুক ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা।
দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল আঙ্গিনায় বসে ‘ডায়াবেটিক মেলা’। যেখানে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিনামূল্যে মানুষের ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে। ডায়াবেটিস মাপার মেশিন ও চিনির বিকল্প দ্রব্য প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্টলে রাখে।
কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইনসুলিনের আবিষ্কারক নোবেলবিজয়ী স্যার ফ্রেডরিক গ্রান্ড বেন্টিংয়ের জন্মদিন ১৪ নভেম্বরকে সম্মান দেখিয়ে ফ্রেডরিক এর জন্মশতবার্ষিকীতে ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনটিকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।
যাদের এখনো ডায়াবেটিস হয়নি, তারা একটু সচেতন হলেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন টিম অব ভলেন্টিয়ার সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা । ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিই এই দিবসের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে শিশুরা যাতে শ্রমবিমুখ না হয় এবং অপুষ্টিতে না ভোগে সেদিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে এবং রাখতে হবে।এছাড়া ধুমপানসহ সব ধরনের তামাক গ্রহণ ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা এবং জটিলতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন না হলে এবং এ রোগ নিয়ন্ত্রণ না করলে যে কোনো ডায়াবেটিক রোগীর কিডনি, চোখ, হৃদপিন্ড, পা ইত্যাদি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং যথাযথ চিকিৎসার অভাবে অসংখ্য লোক অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব বরণ করে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। কাজেই ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বক্তারা।