চট্টগ্রামসারাদেশ

৭১ কোটি টাকার পুনর্বাসন কার্যক্রমে উদ্বোধন করলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ফেনীতে ৭১ কোটি টাকার পুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ৪২ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ১০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার পর বন্যাদুর্গত অঞ্চলসমূহে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ফেনীতে দুটি ঘর ও চল্লিশটি রিকশা হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ৪২ হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই পূর্বক ১০ হাজার গরিব ও অসহায়কে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের অধীনে যে সেবা দেওয়া হবে তা জানিয়ে বলা হয়েছে 

>> সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়া ১৫০০ ঘর নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে, যার সম্ভাব্য খরচ ৪০ কোটি টাকা।

>>৮৪০০ জন ক্ষতিগ্রস্তকে ঘর মেরামত, ব্যবসা ও কৃষি সহযোগিতা করা হচ্ছে, যার সম্ভাব্য খরচ ৩০ কোটি টাকা।

>>১০০ অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে, যার প্রতিটির মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা (মোট ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে দুটি স্যাম্পল ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ফেনীতে ৪০টি অটোরিকশা হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দুর্গত জেলাগুলোতে আরও ৬০টি অটোরিকশা বিতরণ করা হবে।

যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে জানানো হয়েছে, ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত আবেদনগুলো সরেজমিনে যাচাই-বাছাইয়ের পর স্বেচ্ছাসেবী প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে উপকারভোগী চূড়ান্ত করা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে দুটি স্যাম্পল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই ঘরগুলোর উপযোগিতা যাচাইয়ের পর উন্মুক্ত টেন্ডার দেওয়া হবে। গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য থাকবে নানা ধরনের পদক্ষেপ।

ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ঘর মেরামত, ব্যবসা ও কৃষি সহযোগিতার টাকা এই সপ্তাহেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো শুরু হবে। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি মোতাবেক উপকারভোগীরা খুব কম খরচে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

 আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে আরও পড়ুন

ডেস্ক রিপোর্ট

ধ্রুবকন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button