শক্তিশালী ঝড় ‘শেন-ইয়ার’ বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা, জানা গেল
ফুঁসে
আছে বঙ্গোপসাগর ও এর পাশে
আন্দামান সাগর। এই দুই সাগরে
পর পর দুটি লঘুচাপ
সৃষ্টি হয়েছে। দুটি লঘুচাপের মধ্যে
যেটি আন্দামান সাগরে ২২ নভেম্বর সৃষ্টি
হয়েছে সেটি বুধবার (২৬
নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। যার
নাম ‘শেন-ইয়ার’। আন্দামান
সাগরের কাছাকাছি আরেকটি লঘুচাপ যেটি দক্ষিণ-পশ্চিম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল সেটি একটি সুস্পষ্ট
লঘুচাপে পরিণত হয় যা বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা
উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এই লঘুচাপটিও শক্তিশালী
হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।তবে
এটি যতই শক্তিশালী হোক
না কেন, শেন-ইয়ারের
বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা
নেই। একইভাবে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বাংলাদেশের দিকে
আসার কোন প্রকার সম্ভাবনা নেই
বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া
অধিদপ্তর আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল
৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মালাক্কা প্রণালি ও তৎসংলগ্ন এলাকায়
অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে
প্রথমে গভীর নিম্নচাপ ও
পরে ঘূর্ণিঝড় শেন-ইয়ারে পরিণত
হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল
৬টায় একই এলাকায় (৫.০ ডিগ্রি উত্তর
অক্ষাংশ এবং ৯৮.০
ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছিল। এটি পশ্চিম দিকে
অগ্রসর হতে পারে। দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জানান,
আন্দামান থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়
শেন-ইয়ার পশ্চিম দিকে
অগ্রসর হতে পারে। এটি
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আসার কোনো
আশঙ্কা নেই।দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা
উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত আরেকটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে
পরিণত হয়ে একই এলাকায়
অবস্থান করছে বলে জানা যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস ।
এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম
দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে
২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে আঘাত হানতে
পারে ডিসেম্বর মাসের ২ অথবা ৩
তারিখের দিকে।স্বল্প
দূরত্বের প্রায় একই সময় ঘূর্ণিঝড়
সৃষ্টির কারণ জানতে চাইলে
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন,
এখন সূর্যের দক্ষিণায়ন চলছে। এ জন্য আন্দামান
ও বঙ্গোপসাগরের একেবারে দক্ষিণাঞ্চল সূর্যের প্রচণ্ড তাপে বিক্ষুব্ধ হয়ে
উঠেছে। সাগরের বিক্ষুব্ধ বা উত্তপ্ত অঞ্চল
থেকে লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা থাকে। এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ