বাকলিয়া থানার পুলিশ ডাবল মার্ডার কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী দুই আসামী গ্রেফতার

গত ৩০ মার্চ ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী ব্রীজের কাছ থেকে শুরু হওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, দুই ব্যক্তি নিহত এবং আরো দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, নিহতরা ছিলেন মোঃ বখতিয়ার হোসেন প্রঃ মানিক (২৮) এবং আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২)। অপর দুইজন ভিকটিম হচ্ছেন রবিউল হোসেন হৃদয় এবং রবিন, যাদের চিকিৎসা চলছে।
৩০ মার্চ ২০২৫ রাত আনুমানিক ০২:০৫ ঘটিকার সময় বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী ব্রীজের পশ্চিম পাশের সড়ক থেকে একটি প্রাইভেটকারে পাঁচজন ব্যক্তি যাত্রা করছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মোঃ বখতিয়ার হোসেন প্রঃ মানিক, আব্দুল্লাহ আল রিফাত, মোঃ ইমন, রবিউল হোসেন হৃদয় এবং রবিন। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ৬-৭টি মটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাড়া করে এবং গুলি চালাতে থাকে।
কিছু সময় পর, এই হামলার ঘটনা চকবাজার থানাধীন এক্সেস রোডের শেষ মাথায় সিরাজ উদ-দৌলা রোডের কাছের ঢাকাইয়া খানা নামক দোকানের সামনে ঘটে। সেখানে আসামীরা পাকা রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ভিকটিমদের আহত করে। আহতদের দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বাকলিয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং সিসি ফুটেজ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ২ এপ্রিল ২০২৫ রাত ১১:৪৫ ঘটিকায় পুলিশ প্রথম আসামী মোঃ মানিক (২৪)-কে ফটিকছড়ি থানাধীন কাঞ্চননগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে মটরসাইকেল সরবরাহকারী এবং এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
পরে, ৩ এপ্রিল ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫ ঘটিকায় পুলিশ চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড বাদামতল এলাকা থেকে মোঃ বেলাল (২৭)-কে গ্রেফতার করে, যিনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ তার কাছ থেকে ঘটনার সময় পরিহিত কাপড়ও উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে তাদের পরিহিত কাপড়ও জব্দ করা হয়েছে। বাকলিয়া থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন তদন্ত, যা পুলিশ সঠিক এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে ঘটনার সমাধানে অগ্রগতি অর্জন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।