নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক কিছু অত্যাবশকীয় পণ্যের উপর হতে শুল্ক কমানোর কারণে ও সামনে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে খাদ্য পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ (চল্লিশ) টিরও অধিক মাদার ভেসেল অপেক্ষমাণ রয়েছে। ফলশ্রুতিতে উক্ত মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইটার জাহাজের সংকট দেখা দিয়েছে। উক্ত সমস্যা সমাধানের নিমিত্ত নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, (ই), বিএসপি, এনইউপি, বিসিজিএম, বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি, বিএন এর সভাপতিত্বে পণ্যের আমাদানিকারকগণ, লাইটার জাহাজ মালিকগণ, পণ্যের এজেন্ট, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং বাংলাদেশ নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের সমন্বয়ে ১০-০২-২০২৫ খ্রি. তারিখে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিগণের বক্তব্যে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কিছু আমদানিকারকগণ কর্তৃক লাইটার জাহাজসমূহকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ২০ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত পণ্য খালাসের স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। লাইটার জাহাজের অপ্রতুলতার কারণে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে মাদার ভেসেলকে ডেমারেজ/ ক্ষতিপূরণ প্রদানের কারণে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় হচ্ছে। আরও প্রতীয়মান হয় যে, কিছু আমাদানিকারকগণ কর্তৃক প্রায় ৩৫০টির মতো লাইটার জাহাজ পণ্য বোঝাইরত অবস্থায় নৌপথের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। ফলে অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়েছেঃ সকল আমদানিকারক কর্তৃক দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস করতে হবে এবং কোনো ক্রমেই লাইটার জাহাজসমূহকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।