চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিলে ডা. শাহাদাত হোসেন

ক্রিকেটের উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন কোকো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান মরহুম আরাফাত রহমান কোকো অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচার বিমূখ ও নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন সাধারন মানুষের মতো সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। কোকো রাজনীতির সাথে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকোর অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নে তিনি যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজকে যে ক্রিকেট আমরা দেখতে পাই সেই ক্রিকেটের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।

তিনি শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) বাদে মাগরিব শাহ আমানত (রাঃ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ও ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যু বরণকারী নেতৃবৃন্দের আত্বার মাগফেরাত কামনা করা হয়। মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহজাদা এনায়েত উল্লাহ খান।

দোয়া মাহফিল শেষে তিনি মাজার সংলগ্ন এতিমখানায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কোকো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও রাজনীতির বাহিরে থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আধুনিকায়নসহ বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। তার কর্ম দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, মঈনউদ্দীন ফখরুদ্দীনের সরকার কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে প্রচন্ড নির্যাতন করে তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মামলার জালে ফরমায়েশি সাজার রায়ে নানাবিধ অত্যাচারে তিনি হ্রদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি রাজনীতির বাইরে থেকে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বে আশার পর তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। আমাদের খুব দুর্ভাগ্য যে, আমাদের জন্য যারা কিছু তৈরি করেন তাদের আমরা খুব সহজেই ভুলে যাই।

চট্টগ্রাম মহানগর কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন মোহাম্মদ রিমনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, ইসমাইল বালি, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সৌদি আরব বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মঈন উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল আকতার, জসিম উদ্দিন মিন্টু, ইদ্রিস আলী, কোকো স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সি. যুগ্ম সম্পাদক আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি শাহীন হায়াত, মো. আলাউদ্দিন, ইদ্রিছ সবুজ, রাশেদুল ইসলাম রাসু, আইনুল ইসলাম জুয়েল, আজিজুল হক মাসুম, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ, সাইফুল ইসলাম শায়েল, শাহাদাত খান নাবিল, শাহ আজিজ, মো. শফি, জানে আলম কুসুম, দিদার হোসেন, মামুন পাটোয়ারী নিরব, কাজী মোজাম্মেল হক, মো. জনি, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. রেদোয়ান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক রুবেল, শাহনেওয়াজ শাওন, রাশেদুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন, মো. কবির, মো. পারভেজ, নুরুল আমিন, কাজী ইমাম, শামসুল আলম প্রমূখ।

সংবাদ প্রেরক

ইদ্রিস আলী
০১৮১৯৮৩২৪৯০

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button