চট্টগ্রাম

সমন্বয়কদের দ্বন্দ্ব গড়ালো হামলা-মারামারিতে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ শেষে হামলার শিকার হয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জন্য সংগঠনের অপর একটি পক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। শনিবার নগরীর জিইসি এলাকার একটি প্রোডাকশন হাউজে এ ঘটনা ঘটে। এরআগে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যান এলাকায় জুলাই ঘোষণাপত্রের পক্ষে লিফলেট ও পথসভা করেন কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।

পরে হামলার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ। তিনি প্রোডাকশন হাউজে অবরুদ্ধ করে হামলার ঘটনার জন্য সংগঠনের সহ-সমন্বয়ক রিজাউর রহমানকে দায়ী করেন। রিজাউর কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাতের ঘনিষ্ঠভাজন বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাসেল আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘোষণাপত্র পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রবর্তক মোড় ঘুরে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করার পর জিইসি এলাকার একটি প্রোডাকশন হাউজে জুলাই আন্দোলন নিয়ে সিনেমা করার বিষয়ে কথা বলতে যাই হান্নান মাসুদসহ আমরা। ওই অফিসে থাকাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমদু রাফির সাথে আসেন সাদিক আরমান ও রিজাউর রহমান। তারা এসেই চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দকে ছোট করা হচ্ছে অভিযোগ করে কথা কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় আমরা প্রোডাকশন হাউজের একটি কক্ষে আশ্রয় নিই।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা কিশোর গ্যাং ডট গ্রুপের মূল হোতা সাদিক আরমানের শিষ্য। আর রিজাউর হচ্ছে একজন চাঁদাবাজ, তিনি সমন্বয়ক পরিচয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করার একটি অভিযোগ গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। তারা আমাদের এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের হামলায় আমাদের তানভীর শরীফ, আরিফ মনুউদ্দিন, ইফতি, নাছির, খলিলসহ সাতজন সহযোদ্ধা আহত হয়েছে। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে জড়িতদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে আহত এক কর্মীকে নিয়ে প্রেসক্লাবের সম্মেলস্থরে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এসেই মঞ্চে গিয়ে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বক্তব্য দিতে চান রাফি। সাথে সাথে সংবাদ সম্মেলন শেষ বলে উঠে যান রাসেল ও তার অনুসারীরা। সেখানে এক শিক্ষার্থী রাফিকে মারতে তেড়ে যান। এসময় ‘হামলারী ও চাঁদাবাজদের ঠিকানা এই বাংলার হবে না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনস্থলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং রাসেলের অনুাসারীরা রাফির সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। স্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের নীচে গিয়ে অবস্থান নেন রাসেল অনুসারীরা।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে খান তালাত মাহমুদ রাফি সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোনো হামলাকারী বা চাঁদাবাজের পক্ষে সাফাই গাইতে এখানে আসিনি। হামলাকারী যেই হোক আমি তার বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। হামলাকারী আমি হলে আমারও বিচার করা হোক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button