ঢাকা

নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যে উদ্বুদ্ধ করতে আইএসডি’র মহান বিজয় দিবস উদযাপন

[ঢাকা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪] স্কুল সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা। ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীসহ স্কুল কমিউনিটির অংশগ্রহণে দেশের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরা এবং শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো হয়। এ আয়োজনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যে উদ্বুদ্ধ হতে উৎসাহিত করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার ডিরেক্টর স্টিভ ক্যাল্যান্ড-স্কোবলের উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। তিনি বলেন, “শেকড়ের সন্ধানে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা এবং ইতিহাসের প্রতি গভীর বোঝাপড়া গড়ে তোলায় বিশ্বাস করে আইএসডি। বিজয় দিবস উদযাপনের মাধ্যমে অতীতকে স্মরণের ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সুযোগ সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে বিজয় দিবসের এ চেতনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজকের আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীসহ সবার সৃজনশীলতা, দৃঢ়তা এবং গর্বেরই প্রতিফলন।”

স্বাগত বক্তব্যের পরে, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্কুলটির তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এরপরে, বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরে দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী। কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা উপস্থাপন করে এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘আমি বাংলায় গান গাই’ দেশাত্মবোধক গানটি পরিবেশন করে। ‘একাত্তরের চিঠি’ নিয়ে কবিতা ও নাটক পরিবেশন করে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

তৃতীয়, সপ্তম, এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত নৃত্য ‘তাক ধুম তাক ধুম বাজাই’ ও ‘আমি বনফুল গো’ মঞ্চে তারুণ্যের শক্তি সঞ্চার করে। চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘বিজয় উল্লাস’ ও ‘চল চল চল’ হৃদয়গ্রাহী গান ও কবিতা পরিবেশন করে। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনায় ‘আমার পথ চলা’ গানের পরিবেশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। সাংস্কৃতিক আয়োজনে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও তার বাবা ‘তোমাকে অভিবাদন বাংলাদেশ’ কবিতাটি পরিবেশন করে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দলগত পরিবেশনা ‘চলো বাংলাদেশ’ গীতিনাট্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সামগ্রিকভাবে, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের অনুপ্রাণিত করে এবং বিজয় দিবসের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগ নিয়ে অনুষ্ঠিত পরিবেশনা নতুন প্রজন্মকে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও শেকড়ের সাথে সংযুক্ত করেছে; পাশাপাশি, এ আয়োজন তাদের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সুযোগ তৈরি করেছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পুনর্জাগরণে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করল আইএসডি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button