ছাত্র-নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ
গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা অনিশ্চিত। ছাত্র-নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ।
গত ১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিহানের অবস্থান পুরোপুরি স্পষ্ট। এই হত্যাকাণ্ডের দুদিন পার না-হতেই ছিনতাইকারীদের আঘাতে আহত অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ছাত্র ওয়াজেদ আলী সীমান্ত চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন। আজ সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আতাউল্লাহ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হামলার শিকার হন।
একের পর এক হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরাপুরি নিরব ভূমিকা পালন করছে। এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অপরাধীদের গ্রেফতার করতে দেখা যায়নি। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও, এমনকি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেও পুলিশকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের ওপর বারবার হামলা এবং হত্যার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থবিরতার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাবো, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এখনও যেসব ফ্যাসিবাদের দোসর লুকিয়ে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ঘটিত সকল হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।