হাসপাতালে অনিয়েমের বিরুদ্ধে ডাকা শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পন্ড করলেন দুর্বৃত্তরা
চরফ্যাশনের সরকারী হাসপাতালসহ প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে নানা অনিয়মে জেঁকে বসায় সম্প্রতি একাধিক প্রসুতি নারী ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন চুপ থাকলেও চার দফা দাবীতে প্রতিবাদ জানাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ভূক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে অবস্থান নেন সাধারন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরে চরফ্যাশনের সাধারন শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীদের ব্যানারে এ মানবনন্ধন শুরু করলে এসময় স্থানীয় যুবদল নেতা পরিচয়ে চরফ্যাশন উপজেলা ফরিয়ার সাধারন সম্পাদক মো. রানা নামের এক ব্যাক্তি শিক্ষার্থীদের দেয়া চার দফা দাবীতে ডাকা মানববন্ধন স্থলে গিয়ে মারধরের হুমকি দিয়ে পন্ড করে দেন।
জানাযায়, সম্প্রতি সময়ে চরফ্যাশন সরকারী হাসপাতালে দালাল চক্রের উৎপাত ও চিকিৎসকদের অনিয়ম এবং সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে অপচিকিৎসায় প্রসুতি নারী ও নবজাতকের মৃত্যু এবং পরিক্ষা নিরিক্ষার নামের সাধারন মানুষকে হয়রানীসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। রোববার দুপুরে ভুক্তভোগীদের পরিবারসহ সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী চরফ্যাশন উপজেলা ফারিয়ার সাধারন সম্পাদক মো. রানাসহ এক দল দুর্বৃত্তরা এসেই সাধারন শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের ডাকা মানববন্ধন পন্ড করে দেন। পরে খবর পয়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনেন।
অপচিকিৎসায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী হুমায়ারা খানম জানান, বেসরকারী হাসপাতালে গুলোতে সম্প্রতি সময়ে প্রাইভেট হাসপাতালে অপচিকিৎসায় একাধিক প্রসুতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়। এবং সরকারী হাসপাতালে প্রর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও অনিয়মের কারনের ভোগন্তিপোহাতে হচ্ছে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষকে। চরফ্যাশন উপজেলার ৭ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এবং সাধারন মানুষের সেবার মান বাড়াতে ৪ দফা দাবী নিয়ে তারা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এসময় কথিত এক যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী চরফ্যায়ন উপজেলা ফরিয়ার সাধারন সম্পাদক মো. রানা নামের এক ব্যক্তিসহ একটি দুর্বৃত্তচক্র হঠাৎ এসে তাদের সভা স্থলে হামলার হুমকি দিয়ে তাদের মানবন্ধনটি পন্ড করে দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে তাদেরকে মামলায় ফাঁসিয় পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
মানববন্ধনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী মো. রমজান উদ্দিন, সুরাইয়া, পাপঁড়ী , ওপি, হাসনাইনসহ আরো অনেক শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারী হাসপাতলের অব্যবস্থাপনা ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর অপচিকিৎসা বন্ধে তাদের পুর্বে ঘোষনা অনুযায়ী তারা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তারা হাসপাতাল চত্তর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদরের দিকে যেতে শুরু করলে কথিত ওই যুবদল নেতা ও ফরিয়ার সাধারন সম্পাদক রানাসহ কিছু দুর্বৃত্তরা তাদের সমাবেশে বাধা দেন। এবং তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন প্রাইভেট হাসপাতাল নিয়ে কোন কথা বললে তাদের হাত-পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে তাদের চার দফা দাবীতে দেয়া মানববন্ধনটি পন্ড করে দেন। এবং মানববন্ধন ছেড়ে চলে না গেলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
যুবদল নেতা পরিচয়দানকারী মো. রানা জানান, কোন অনুমতি ছাড়াই তারা মানবন্ধন করায় পুলিশ ডেকে তাদের মানববন্ধন বালিত করে দেয়া হয়েছে। তিনি পন্ড করেছেন বিষয়টি সঠিক নয়। চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কিছু লোককের বিশ্খৃলার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। চরফ্যাশন পঃপঃ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শোভন বসাক জানান, মানববনন্ধনে অংশ্রগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা যদি তাদের দাবী গুলো লিখিত আকারে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে তাহলে তাদের যৌতিকদাবীগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।