নোয়াখালী সদরে মাদক কারবারে বেপরোয়া শিপন; অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ; দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং চরমটুয়া ইউনিয়নের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। মানুষের রক্তের ফোঁটা এখনো লেগে আছে যার শরীরে। প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছিল যার পেশা ও নেশা।
২০২০ সালের দিকে প্রভাব বিস্তারের জেরে সন্ত্রাসী হা-ম-লার শিকার হয়ে এক হাত হারিয়েছেন। পরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অন্যদের সাথে পেরে উঠতে না পেরে ধরেছেন মাদক ব্যবসা। প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও ব্যবসা করায় মাদক সম্রাট হিসেবে উপাধি পেয়েছেন।
জনপ্রতিনিধি কিংবা সমাজের মানুষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে এই মাদক কারবার চালালেও হামলার ভয়ে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কেউ। হত্যা, চুরি- ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলার আসামী শিপনের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অভিযুক্ত এই যুবক।
জানা যায়, মো. শিপন নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯নং চরমটুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জগৎ পুর গ্রামের কালাজী পাটোয়ারী বাড়ির মো. নুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, মসজিদের ঈমাম ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজন জানান, “একসময় এই বেড়ীবাধ এলাকায় শিপন গংদের অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এখানকার মানুষ খুবই অতিষ্ঠ ছিল। জনমনেও আতংক ছিল বেশ। আধিপত্যের জেরে একহাত খোঁড়ালে এবার অস্ত্র ছেড়ে ধরেছে মাদক ব্যবসা। প্রকাশ্যে এমন কার্যকলাপের কারণে সমাজের অন্য যুবকরাও বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। অচিরেই প্রশাসন যদি এসব মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে জনমনে আরো অস্বস্তি নেমে আসবে।”
এবিষয়ে ১৯নং চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী জানান, “আমরা বহুবার মাদক কারবারি শিপন কে মাদক’সহ হাতেনাতে ধরেছি। পুলিশের কাছেও সোপর্দ করেছি। কিন্তু হাত না থাকায় পুলিশও তাকে নিতে চায় না। সে নিজে মাদক গ্রহণ করে এবং এলাকার অন্যদের নিয়েও আসর বসায়। কোনোভাবেই তার এহেন কার্যকলাপ থামছে না।”
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, বিষয়টি আমলে নেয়া হয়েছে। তার বি-রুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।