রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঘা পৌর এলাকার মিলিক বাঘা গ্রামের অনন্যা ওরফে মুন্নি (২৩) নামের গৃহবধুর মরদেহ তার বাড়িতে পৌঁছায়। শেষ বিদায় জানানোর জন্য খাটিয়ার পাশে ছিলেন স্বজনরা। বাদ আসরের নামাজ শেষে মরদেহ বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মুন্নিকে শুক্রবার থেকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়না তদন্তের আগ পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল।
মুন্নির মা মনোয়ারা অভিযোগ করেন, তার মেয়ের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মেয়ের সঙ্গে শেষ কথোপকথনে মুন্নি জানিয়েছিলেন, “আমি আর নির্যাতনের যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছি না।”
শনিবার সকালে মুন্নির শ্বশুর সহিদুল মাঝি মোবাইলে জানান, তার মেয়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে। এই খবর পেয়ে মুন্নির মা-বাবা ঢাকা থেকে ছুটে আসেন।
মুন্নির বাবা মাসুদ রানা জানান, তাদের মেয়ের সঙ্গে সুরুজ উদ্দীনের বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। তাদের সংসারে রয়েছে জিহাদ (৮) এবং সাবা বুড়ি (৪)। সুরুজ মাদকাসক্ত এবং সংসারে নানাভাবে কলহ চলত। অভিযোগ, বিয়ের পর যৌতুক দাবিও ছিল। এই কলহ ও মাদকাসক্তির জেরে মুন্নির শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছিল।
মুন্নির শ্বশুর বাড়ির মানুষদের দাবি, মুন্নি আত্মহত্যা করেছে। শনিবার ভোরে চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখেন তার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চিৎকার শুনে
সুরুজের বাড়িতে গিয়ে মুন্নির পোড়ানো এবং বিবস্ত্র অবস্থায় লুঙ্গি দিয়ে ঢাকা দেখেছেন। সুরুজ মাদকাসক্ত এবং পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
মুন্নির ভাই মিঠু জানান, ঘটনার দিনই তিনি বাঘা থানায় জিডি করেছেন (নম্বর-৪৫)। দাফনের আগে থানায় মামলা করতে পারেননি, তবে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.png)
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঘা পৌর এলাকার মিলিক বাঘা গ্রামের অনন্যা ওরফে মুন্নি (২৩) নামের গৃহবধুর মরদেহ তার বাড়িতে পৌঁছায়। শেষ বিদায় জানানোর জন্য খাটিয়ার পাশে ছিলেন স্বজনরা। বাদ আসরের নামাজ শেষে মরদেহ বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মুন্নিকে শুক্রবার থেকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়না তদন্তের আগ পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল।
মুন্নির মা মনোয়ারা অভিযোগ করেন, তার মেয়ের শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মেয়ের সঙ্গে শেষ কথোপকথনে মুন্নি জানিয়েছিলেন, “আমি আর নির্যাতনের যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছি না।”
শনিবার সকালে মুন্নির শ্বশুর সহিদুল মাঝি মোবাইলে জানান, তার মেয়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে। এই খবর পেয়ে মুন্নির মা-বাবা ঢাকা থেকে ছুটে আসেন।
মুন্নির বাবা মাসুদ রানা জানান, তাদের মেয়ের সঙ্গে সুরুজ উদ্দীনের বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। তাদের সংসারে রয়েছে জিহাদ (৮) এবং সাবা বুড়ি (৪)। সুরুজ মাদকাসক্ত এবং সংসারে নানাভাবে কলহ চলত। অভিযোগ, বিয়ের পর যৌতুক দাবিও ছিল। এই কলহ ও মাদকাসক্তির জেরে মুন্নির শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছিল।
মুন্নির শ্বশুর বাড়ির মানুষদের দাবি, মুন্নি আত্মহত্যা করেছে। শনিবার ভোরে চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখেন তার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চিৎকার শুনে
সুরুজের বাড়িতে গিয়ে মুন্নির পোড়ানো এবং বিবস্ত্র অবস্থায় লুঙ্গি দিয়ে ঢাকা দেখেছেন। সুরুজ মাদকাসক্ত এবং পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
মুন্নির ভাই মিঠু জানান, ঘটনার দিনই তিনি বাঘা থানায় জিডি করেছেন (নম্বর-৪৫)। দাফনের আগে থানায় মামলা করতে পারেননি, তবে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন