ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ডেমরা এলাকা বর্তমানে ছিনতাইকারীদের নতুন 'হটস্পট' হয়ে উঠেছে। গত মাস অক্টোবর এবং বর্তমান নভেম্বরের শুরুতে ডেমরার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বিশেষত হাজী বাদশা মিয়া রোড, শান্তিবাগ, হাজী লুৎফুর রহমান রোড, ফার্মের মোড় এবং সাইনবোর্ড জিরো পয়েন্ট এলাকাগুলোতে ছিনতাইয়ের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৮ শে নভেম্বর ভোরে হাজী লুৎফুর রহমান রোডে এক দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক কামরুল ইসলাম রবিন নামের এক ব্যক্তি গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে শেষ রাতের দিকে মেন রাস্তার পাশেই তাঁর ভাড়া বাসার সামনে গেট খোলার অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর স্ত্রী গেট খুলতে সামান্য দেরি হওয়ায় সুযোগ বুঝে দুটি মোটর সাইকেলে করে আসা কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁকে ঘিরে ফেলে। তারা মোবাইল সেট সহ ব্যাগে থাকা কয়েক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর পাশাপাশি ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রবিন সাহেবকে গুরুতরভাবে যখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অক্টোবর মাসে কেবল শান্তিবাগের হাজী লুৎফুর রহমান রোড এবং হাজী বাদশা মিয়া রোড এলাকাতেই রবিন সাহেবের ঘটনাটিসহ অন্তত পাঁচটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
রাতে সংঘটিত হওয়া ছিনতাই এর ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “ভোরবেলা হোক বা গভীর রাত, মেইন রাস্তাগুলোতে এমন অন্ধকার থাকে যে কাউকে চেনা যায় না। আমরা বহুবার সিটি কর্পোরেশনে জানিয়েছি, কিন্তু নষ্ট ল্যাম্পপোস্টগুলো মেরামত করা হয়নি। এই অন্ধকার পরিবেশ ছিনতাই কে আরে সহজতর করে তুলেছে।
কেবল রাতেই নয়, দিনের বেলায়, বিশেষ করে সকালের দিকে যখন সাধারণ মানুষের আনাগোনা কিছুটা কম থাকে, তখনও বাইক আরোহী ছিনতাইকারীরা সক্রিয় থাকে। তারা চলন্ত অবস্থায় পথচারী নারী-পুরুষ সকলের হাত থেকে মোবাইল, ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী যাত্রীরা সর্বদা আতঙ্কে থাকেন।
এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ছিনতাইকারীদের দ্রুত আটক করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডেমরার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
.png)
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ডেমরা এলাকা বর্তমানে ছিনতাইকারীদের নতুন 'হটস্পট' হয়ে উঠেছে। গত মাস অক্টোবর এবং বর্তমান নভেম্বরের শুরুতে ডেমরার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বিশেষত হাজী বাদশা মিয়া রোড, শান্তিবাগ, হাজী লুৎফুর রহমান রোড, ফার্মের মোড় এবং সাইনবোর্ড জিরো পয়েন্ট এলাকাগুলোতে ছিনতাইয়ের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৮ শে নভেম্বর ভোরে হাজী লুৎফুর রহমান রোডে এক দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক কামরুল ইসলাম রবিন নামের এক ব্যক্তি গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে শেষ রাতের দিকে মেন রাস্তার পাশেই তাঁর ভাড়া বাসার সামনে গেট খোলার অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর স্ত্রী গেট খুলতে সামান্য দেরি হওয়ায় সুযোগ বুঝে দুটি মোটর সাইকেলে করে আসা কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁকে ঘিরে ফেলে। তারা মোবাইল সেট সহ ব্যাগে থাকা কয়েক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর পাশাপাশি ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রবিন সাহেবকে গুরুতরভাবে যখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অক্টোবর মাসে কেবল শান্তিবাগের হাজী লুৎফুর রহমান রোড এবং হাজী বাদশা মিয়া রোড এলাকাতেই রবিন সাহেবের ঘটনাটিসহ অন্তত পাঁচটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
রাতে সংঘটিত হওয়া ছিনতাই এর ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “ভোরবেলা হোক বা গভীর রাত, মেইন রাস্তাগুলোতে এমন অন্ধকার থাকে যে কাউকে চেনা যায় না। আমরা বহুবার সিটি কর্পোরেশনে জানিয়েছি, কিন্তু নষ্ট ল্যাম্পপোস্টগুলো মেরামত করা হয়নি। এই অন্ধকার পরিবেশ ছিনতাই কে আরে সহজতর করে তুলেছে।
কেবল রাতেই নয়, দিনের বেলায়, বিশেষ করে সকালের দিকে যখন সাধারণ মানুষের আনাগোনা কিছুটা কম থাকে, তখনও বাইক আরোহী ছিনতাইকারীরা সক্রিয় থাকে। তারা চলন্ত অবস্থায় পথচারী নারী-পুরুষ সকলের হাত থেকে মোবাইল, ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী যাত্রীরা সর্বদা আতঙ্কে থাকেন।
এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ছিনতাইকারীদের দ্রুত আটক করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডেমরার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
.png)
আপনার মতামত লিখুন