ধ্রুবকন্ঠ

কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ



কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
ছবি সংগৃহীত

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি ও সেনানিবাস এলাকা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী ও মনোনয়নপ্রত্যাশী হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীদের মাঝে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর চকবাজার-কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে চকবাজার এলাকা থেকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি গণমিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় মনিরুল হক ও হাজী ইয়াসিনের অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে মিছিলটি নিয়ে রাজগঞ্জ, মোগলটুলি, সার্কিট হাউস, ফৌজদারি মোড়, জেলখানা রোড ও পুলিশ লাইন হয়ে মনিরুল হক চৌধুরী ও তার অনুসারীরা চলে যান।

হাজী ইয়াছিনের অনুসারী কুমিল্লা জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. আজাদ বলেন, ‘দিনভর কান্দিরপাড়-রাজগঞ্জ-চকবাজার এলাকায় তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রচার এবং ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং বিকেলে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণার খুশিতে কান্দিরপাড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়। বিকেলে চকবাজার এলাকায় মনির চৌধুরী বহিরাগত লোক এনে গণমিছিলের আয়োজন করেন। এ সময় সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারী কুমিল্লা জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেলে আমরা শান্তিপূর্ণ একটি গণমিছিলের আয়োজন করি। কিন্তু মিছিলের শেষ ভাগে হঠাৎ কয়েকটি শব্দ হয়।

এ সময় আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে তারা কারা আমরা তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করতে পারিনি।

 

গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারেক জিয়ার ধানের শীষ এগিয়ে যাবে। কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয় ঠেকাতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এই আসন তারেক জিয়াকে উপহার দিতে চাই।

আমি সদর দক্ষিণকে যেমন সাজিয়েছি তার চেয়ে আরো সুন্দর করে কুমিল্লা মহানগরকে সাজাব।

 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বিলেন, ‘আমি রাজগঞ্জ এলাকা থেকে গণমিছিলে যুক্ত হয়েছি। তবে মিছিলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমাকে কেউ এই বিষয়ে অভিযোগও করেনি। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘হাজী ইয়াছিন ও মনির চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় কয়েকটি পটকাসদৃশ বিস্ফোরণ ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কোনোপক্ষই অভিযোগ করেনি।

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫


কুমিল্লায় বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশের তারিখ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি ও সেনানিবাস এলাকা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী ও মনোনয়নপ্রত্যাশী হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীদের মাঝে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর চকবাজার-কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে চকবাজার এলাকা থেকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি গণমিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় মনিরুল হক ও হাজী ইয়াসিনের অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে মিছিলটি নিয়ে রাজগঞ্জ, মোগলটুলি, সার্কিট হাউস, ফৌজদারি মোড়, জেলখানা রোড ও পুলিশ লাইন হয়ে মনিরুল হক চৌধুরী ও তার অনুসারীরা চলে যান।

হাজী ইয়াছিনের অনুসারী কুমিল্লা জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. আজাদ বলেন, ‘দিনভর কান্দিরপাড়-রাজগঞ্জ-চকবাজার এলাকায় তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রচার এবং ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং বিকেলে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণার খুশিতে কান্দিরপাড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়। বিকেলে চকবাজার এলাকায় মনির চৌধুরী বহিরাগত লোক এনে গণমিছিলের আয়োজন করেন। এ সময় সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারী কুমিল্লা জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেলে আমরা শান্তিপূর্ণ একটি গণমিছিলের আয়োজন করি। কিন্তু মিছিলের শেষ ভাগে হঠাৎ কয়েকটি শব্দ হয়।

এ সময় আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে তারা কারা আমরা তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করতে পারিনি।

 

গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারেক জিয়ার ধানের শীষ এগিয়ে যাবে। কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয় ঠেকাতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এই আসন তারেক জিয়াকে উপহার দিতে চাই।

আমি সদর দক্ষিণকে যেমন সাজিয়েছি তার চেয়ে আরো সুন্দর করে কুমিল্লা মহানগরকে সাজাব।

 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বিলেন, ‘আমি রাজগঞ্জ এলাকা থেকে গণমিছিলে যুক্ত হয়েছি। তবে মিছিলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমাকে কেউ এই বিষয়ে অভিযোগও করেনি। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘হাজী ইয়াছিন ও মনির চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় কয়েকটি পটকাসদৃশ বিস্ফোরণ ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কোনোপক্ষই অভিযোগ করেনি।


ধ্রুবকন্ঠ

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত