এই সমস্যা এখন শুধু কোনো বিশেষ অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এই প্রবণতা। চিকিৎসকরা জানায়, আধুনিক জীবনযাত্রা, বসে থাকা অভ্যাস
এবং অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেও ৬ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ শিশুর কোলেস্টেরলের
মাত্রা অস্বাভাবিক পাওয়া গেছে।
কি কারণে বাড়ছে শিশুদের কোলেস্টেরল
চিকিৎসকরা
বলছেন, প্রসেসড খাবার যেমন চিনিযুক্ত পানীয়, ফাস্টফুড, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস
ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়াই এর কারণ।
আনহেলদি
ফ্যাট ও মাত্রাতিরিক্ত চিনি, জাঙ্ক ফুড শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত
ঘটাচ্ছে। ফলে শিশুদের দেহে ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ দ্রুত বাড়ছে।
এ ছাড়া মোবাইল ও
কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটানোয় শিশুরা এখন শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে।
ফলে ক্যালরি খরচও কমে গেছে।
তবে শুধু খাদ্যাভাসই যে সবসময় দোষী, তা নয়। অনেক সময় এটি জিনগত
কারণেও হতে পারে। পরিবারে যদি হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া বা হাই কোলেস্টেরলের প্রবণতা
থাকে, তবে জিনগত কারণেই শিশুরও সেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা
আরো জানান, শিশুদের মধ্যে হঠাৎ ওজন পরিবর্তন, ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা
সতর্ক সংকেত হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এটি অবহেলা করার ফলে কি হতে পারে
বাচ্চাদের
হাই কোলেস্টেরলের চিকিৎসা যদি দ্রুত শুরু না হয়, তাহলে ধীরে ধীরে ধমনিতে চর্বি জমে
ব্লকেজ তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক বা ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে
দেয়।
চিকিৎসকদের ভাষায়, অভ্যাস না বদলালে কৈশোরেই ধমনিতে ব্লকেজ শুরু
হতে পারে। এটি ভবিষ্যতের হৃদরোগ, স্থূলতা ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুখের পথ খুলে
দেয়।
অভিভাবকদের কী করা উচিত
সুষম খাদ্যাভাস : সবুজ শাক-সবজি, ফল, হোল গ্রেইন ও ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি করে
খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মিষ্টি কমাতে হবে।
শারীরিক কসরত : প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম যেমন হাঁটা,
দৌড়ানো, খেলাধুলা ইত্যাদি রুটিনে রাখা উচিত।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা : পরিবারে যদি
হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তবে নিয়মিত কোলেস্টেরল টেস্ট করানো আবশ্যক।
সূত্র
: দ্য ওয়াল
.png)
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২৫
এই সমস্যা এখন শুধু কোনো বিশেষ অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এই প্রবণতা। চিকিৎসকরা জানায়, আধুনিক জীবনযাত্রা, বসে থাকা অভ্যাস
এবং অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেও ৬ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ শিশুর কোলেস্টেরলের
মাত্রা অস্বাভাবিক পাওয়া গেছে।
কি কারণে বাড়ছে শিশুদের কোলেস্টেরল
চিকিৎসকরা
বলছেন, প্রসেসড খাবার যেমন চিনিযুক্ত পানীয়, ফাস্টফুড, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস
ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়াই এর কারণ।
আনহেলদি
ফ্যাট ও মাত্রাতিরিক্ত চিনি, জাঙ্ক ফুড শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত
ঘটাচ্ছে। ফলে শিশুদের দেহে ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ দ্রুত বাড়ছে।
এ ছাড়া মোবাইল ও
কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটানোয় শিশুরা এখন শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে।
ফলে ক্যালরি খরচও কমে গেছে।
তবে শুধু খাদ্যাভাসই যে সবসময় দোষী, তা নয়। অনেক সময় এটি জিনগত
কারণেও হতে পারে। পরিবারে যদি হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া বা হাই কোলেস্টেরলের প্রবণতা
থাকে, তবে জিনগত কারণেই শিশুরও সেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা
আরো জানান, শিশুদের মধ্যে হঠাৎ ওজন পরিবর্তন, ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা
সতর্ক সংকেত হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এটি অবহেলা করার ফলে কি হতে পারে
বাচ্চাদের
হাই কোলেস্টেরলের চিকিৎসা যদি দ্রুত শুরু না হয়, তাহলে ধীরে ধীরে ধমনিতে চর্বি জমে
ব্লকেজ তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক বা ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে
দেয়।
চিকিৎসকদের ভাষায়, অভ্যাস না বদলালে কৈশোরেই ধমনিতে ব্লকেজ শুরু
হতে পারে। এটি ভবিষ্যতের হৃদরোগ, স্থূলতা ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুখের পথ খুলে
দেয়।
অভিভাবকদের কী করা উচিত
সুষম খাদ্যাভাস : সবুজ শাক-সবজি, ফল, হোল গ্রেইন ও ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি করে
খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মিষ্টি কমাতে হবে।
শারীরিক কসরত : প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম যেমন হাঁটা,
দৌড়ানো, খেলাধুলা ইত্যাদি রুটিনে রাখা উচিত।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা : পরিবারে যদি
হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তবে নিয়মিত কোলেস্টেরল টেস্ট করানো আবশ্যক।
সূত্র
: দ্য ওয়াল
.png)
আপনার মতামত লিখুন