দৈনিক
মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী
সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। গতকাল
মঙ্গলবার নগর ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সকাল থেকেও সারা দিন
প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো
সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।
আজ
বুধবার সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে
প্রতিটি বিভাগে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে
অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তারা কর্মবিরতি শুরু করায়
ইতোমধ্যেই ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে
স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত
আছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগেই বেশি। এসব শ্রমিকদের প্রতিদিনের নির্ধারিত
মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এছাড়া কোনোদিন কাজে অনুপস্থিত
থাকলে তারা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।তারা বলছেন, গত
জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি
বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা এবং
অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন
করেনি।
পরিবহন
শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও
বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন
ওই কমিটির প্রধান।
কমিটি
শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে
কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।
করপোরেশনের
প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বুধবার প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব
কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন,
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ
কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে
ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি
সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তারা
অফিসেই আসেননি।
এ
বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেছেন, দৈনিক মজুরিভিত্তিক
শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তারা বেশ কিছু বেআইনি দাবি
তুলেছেন। সব কিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন,
সেটা স্পষ্ট নয়। তাদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না,
সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
.png)
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক
মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী
সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। গতকাল
মঙ্গলবার নগর ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সকাল থেকেও সারা দিন
প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো
সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।
আজ
বুধবার সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে
প্রতিটি বিভাগে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে
অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তারা কর্মবিরতি শুরু করায়
ইতোমধ্যেই ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে
স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত
আছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগেই বেশি। এসব শ্রমিকদের প্রতিদিনের নির্ধারিত
মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এছাড়া কোনোদিন কাজে অনুপস্থিত
থাকলে তারা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।তারা বলছেন, গত
জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি
বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা এবং
অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন
করেনি।
পরিবহন
শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও
বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন
ওই কমিটির প্রধান।
কমিটি
শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে
কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।
করপোরেশনের
প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বুধবার প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব
কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন,
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ
কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে
ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি
সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তারা
অফিসেই আসেননি।
এ
বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেছেন, দৈনিক মজুরিভিত্তিক
শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তারা বেশ কিছু বেআইনি দাবি
তুলেছেন। সব কিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন,
সেটা স্পষ্ট নয়। তাদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না,
সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন