সিরাজগঞ্জ, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-সলঙ্গা-রায়গঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি আইনুল হক। তার এই মনোনয়ন প্রাপ্তি দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বিএনপিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এবং দলের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ভিপি আইনুল হক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জে ছাত্রদলের ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছিল। পরে তিনি জেলা বিএনপিতেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তার ক্লিন ইমেজ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে তিনি একজন সজ্জন ও আপসহীন নেতা হিসেবে পরিচিত।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনটি বিএনপির জন্য বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত। দলের হাইকমান্ড এই আসনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী খুঁজছিল, যিনি দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার পাশাপাশি ভোটের মাঠেও দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন। ভিপি আইনুল হকের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি তার ত্যাগ, কারাভোগ এবং এলাকার মানুষের কাছে তার গভীর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে দল তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। স্থানীয় বিএনপিতে তার প্রতি নেতাকর্মীদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, যা তাকে বিজয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাধারণ ভোটাররাও ভিপি আইনুল হকের মনোনয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, আইনুল হক এলাকার সমস্যাগুলো গভীরভাবে বোঝেন এবং তার পক্ষে এলাকার উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভোটাররা মনে করছেন, একজন স্থানীয় ও জনসম্পৃক্ত নেতা হিসেবে তিনি এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর ভিপি আইনুল হক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "দল আমাকে যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি তার মর্যাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এলাকার উন্নয়নে এবং জনগণের কল্যাণে আমি সবসময় কাজ করে যাব। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমি এই আসনে বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হব।" তিনি আরও বলেন, "আমার এই বিজয় হবে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের আপামর জনসাধারণের বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়।"
ভিপি আইনুল হকের মনোনয়ন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার নেতৃত্বে বিএনপি এই আসনে কতটা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে এবং তিনি কিভাবে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তার মনোনয়ন নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
.png)
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-সলঙ্গা-রায়গঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি আইনুল হক। তার এই মনোনয়ন প্রাপ্তি দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বিএনপিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এবং দলের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ভিপি আইনুল হক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জে ছাত্রদলের ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছিল। পরে তিনি জেলা বিএনপিতেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তার ক্লিন ইমেজ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে তিনি একজন সজ্জন ও আপসহীন নেতা হিসেবে পরিচিত।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনটি বিএনপির জন্য বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত। দলের হাইকমান্ড এই আসনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী খুঁজছিল, যিনি দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার পাশাপাশি ভোটের মাঠেও দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন। ভিপি আইনুল হকের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি তার ত্যাগ, কারাভোগ এবং এলাকার মানুষের কাছে তার গভীর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে দল তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। স্থানীয় বিএনপিতে তার প্রতি নেতাকর্মীদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, যা তাকে বিজয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাধারণ ভোটাররাও ভিপি আইনুল হকের মনোনয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, আইনুল হক এলাকার সমস্যাগুলো গভীরভাবে বোঝেন এবং তার পক্ষে এলাকার উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভোটাররা মনে করছেন, একজন স্থানীয় ও জনসম্পৃক্ত নেতা হিসেবে তিনি এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর ভিপি আইনুল হক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "দল আমাকে যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি তার মর্যাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এলাকার উন্নয়নে এবং জনগণের কল্যাণে আমি সবসময় কাজ করে যাব। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমি এই আসনে বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল হব।" তিনি আরও বলেন, "আমার এই বিজয় হবে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের আপামর জনসাধারণের বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়।"
ভিপি আইনুল হকের মনোনয়ন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার নেতৃত্বে বিএনপি এই আসনে কতটা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে এবং তিনি কিভাবে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তার মনোনয়ন নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন