মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত
সংগীতশিল্পী, সুরকার ও অভিনেতা জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা ‘রই রই বিনালে’। তিনি
যেদিন মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন ঠিক সেদিনই আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মুক্তি পেল
গায়কের অভিনীত সিনেমাটি।
জুবিনের
সিনেমা মুক্তিকে ঘিরে আসামে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সিনেমাটির
টিকিটের দাম বেড়ে যায়।
তবে সব উপেক্ষা করে ভক্তরা ছোটেন হলে
প্রিয় শিল্পীকে আরও একবার পর্দায় দেখতে।
এদিকে আজ জুবিনের শেষ সিনেমা মুক্তির
দিনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন গায়কের ভক্তরা। অনেকেই সিনেমাটি দেখতে গিয়ে কেঁদে
ফেলেছেন। 
জনপ্রিয় অসমিয়া পরিচালক রাজেশ ভূঞা এক
সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই ছবি জুবিনদার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয় ছিল।
গল্প,
সুর, গানের কথা—সব কিছুতেই ছিল তার হাতের ছোঁয়া।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আমরা তিন বছর ধরে ছবিটি তৈরি করেছি। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছাড়া সব কাজই
শেষ ছিল। তাই তার মৃত্যুর পরও আমরা তার কণ্ঠের আসল রেকর্ডিং রেখেই ছবিটি মুক্তি
দিয়েছি।
ছবিতে ব্যবহৃত ৮০ থেকে
৯০ শতাংশ সংলাপ ও গানই জুবিনের নিজের গলার, যা ল্যাপেল মাইকে রেকর্ড করা হয়েছিল।
ফলে দর্শকেরা আবারও প্রেক্ষাগৃহে শুনতে পাবেন তার সেই অনন্য কণ্ঠ—এ যেন জীবনের
পর্দা থেকে মৃত্যুর পর্দায় এক আবেগঘন প্রত্যাবর্তন।
এদিকে
সিনেমাটির মুক্তির দিন ঘনিয়ে আসতেই আসামসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে টিকিটের দাম
হঠাৎ বেড়ে যায়। স্থানীয় দর্শকেরা অভিযোগ করেছেন, প্রযোজক ও হল কর্তৃপক্ষ জুবিনের
মৃত্যুকে ঘিরে আবেগের সুযোগ নিচ্ছেন। 
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘জুবিনদা জীবিত থাকলে এটি সহ্য করতেন না।
জুবিন গার্গ সমগ্র
ভারতের এক পরিচিত নাম। তার গাওয়া বলিউড গান ‘ইয়া আলী’ (‘গ্যাংস্টার’, ২০০৬)
ভারতজুড়ে তাঁকে নতুন পরিচিতি দেয়। চল্লিশের বেশি ভাষায় গান গাওয়া এই শিল্পী ছিলেন
এক বিরল প্রতিভা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান ৫২ বছর বয়সী ভারতের অন্যতম
জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। 
সূত্র:
হিন্দুস্তান টাইমস 
.png)
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
      মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত
সংগীতশিল্পী, সুরকার ও অভিনেতা জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা ‘রই রই বিনালে’। তিনি
যেদিন মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন ঠিক সেদিনই আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মুক্তি পেল
গায়কের অভিনীত সিনেমাটি।
জুবিনের
সিনেমা মুক্তিকে ঘিরে আসামে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সিনেমাটির
টিকিটের দাম বেড়ে যায়।
তবে সব উপেক্ষা করে ভক্তরা ছোটেন হলে
প্রিয় শিল্পীকে আরও একবার পর্দায় দেখতে।
এদিকে আজ জুবিনের শেষ সিনেমা মুক্তির
দিনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন গায়কের ভক্তরা। অনেকেই সিনেমাটি দেখতে গিয়ে কেঁদে
ফেলেছেন। 
জনপ্রিয় অসমিয়া পরিচালক রাজেশ ভূঞা এক
সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই ছবি জুবিনদার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয় ছিল।
গল্প,
সুর, গানের কথা—সব কিছুতেই ছিল তার হাতের ছোঁয়া।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আমরা তিন বছর ধরে ছবিটি তৈরি করেছি। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছাড়া সব কাজই
শেষ ছিল। তাই তার মৃত্যুর পরও আমরা তার কণ্ঠের আসল রেকর্ডিং রেখেই ছবিটি মুক্তি
দিয়েছি।
ছবিতে ব্যবহৃত ৮০ থেকে
৯০ শতাংশ সংলাপ ও গানই জুবিনের নিজের গলার, যা ল্যাপেল মাইকে রেকর্ড করা হয়েছিল।
ফলে দর্শকেরা আবারও প্রেক্ষাগৃহে শুনতে পাবেন তার সেই অনন্য কণ্ঠ—এ যেন জীবনের
পর্দা থেকে মৃত্যুর পর্দায় এক আবেগঘন প্রত্যাবর্তন।
এদিকে
সিনেমাটির মুক্তির দিন ঘনিয়ে আসতেই আসামসহ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে টিকিটের দাম
হঠাৎ বেড়ে যায়। স্থানীয় দর্শকেরা অভিযোগ করেছেন, প্রযোজক ও হল কর্তৃপক্ষ জুবিনের
মৃত্যুকে ঘিরে আবেগের সুযোগ নিচ্ছেন। 
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘জুবিনদা জীবিত থাকলে এটি সহ্য করতেন না।
জুবিন গার্গ সমগ্র
ভারতের এক পরিচিত নাম। তার গাওয়া বলিউড গান ‘ইয়া আলী’ (‘গ্যাংস্টার’, ২০০৬)
ভারতজুড়ে তাঁকে নতুন পরিচিতি দেয়। চল্লিশের বেশি ভাষায় গান গাওয়া এই শিল্পী ছিলেন
এক বিরল প্রতিভা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান ৫২ বছর বয়সী ভারতের অন্যতম
জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। 
সূত্র:
হিন্দুস্তান টাইমস 
.png)
আপনার মতামত লিখুন