হাতে
থাকা দামি স্মার্টফোনটি হঠাৎ পানিতে পড়ে গেলে কী হবে? চিন্তাটা নিশ্চয়ই আমাদের
সবার মাথাতেই ঘোরে। কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ওয়াটারপ্রুফ
হিসেবে বাজারে আসছে। এমনকি কিছু ফোন অ্যাকুরিয়ামের ভেতর থেকেও দিব্যি কাজ করে!
কিন্তু কীভাবে একটি জটিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রকে পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ করা সম্ভব
হয়?
এর পেছনের মূল প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোকোটিং। এটি এক ধরনের বিশেষ
আস্তরণ। এটি অত্যন্ত পাতলা—মানুষের একটি চুলের চেয়েও প্রায় এক হাজার গুণ। এই
ন্যানোকোটিংয়ের কারণে প্রথমে স্মার্টফোন বা গ্যাজেটটিকে একটি ভ্যাকুয়াম চেম্বারের
ভেতরে রাখা হয়। এরপর সেই চেম্বারের ভেতরে ছাড়া হয় উচ্চ গতির একধরনের বিশেষ
গ্যাস। এই গ্যাসের মধ্যে পানি-রোধী পলিমার মানে এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ থাকে। গ্যাসের
ধাক্কায় সেই পলিমার গ্যাজেটটির পৃষ্ঠের সঙ্গে আণবিক স্তরে স্থায়ী বন্ধন তৈরি
করে।
এই প্রক্রিয়ায় শুধু ডিভাইসের বাইরের অংশেই নয়, হেডফোন জ্যাক বা
চার্জিং পোর্টের মতো ভেতরের সূক্ষ্ম অংশগুলোতেও একটি অদৃশ্য সুরক্ষা আবরণ তৈরি করে
দেয়। ফলে ডিভাইসটি শতভাগ ওয়াটারপ্রুফ হয়ে ওঠে। বাজারে ফোন কেনার সময় আমরা
প্রায়ই IP67 বা IP68 রেটিং দেখতে পাই। এই রেটিংগুলোই বলে দেয় একটি ডিভাইস কতটা
পানি-রোধী। এই রেটিং অর্জনের পেছনে ন্যানোকোটিং এবং উন্নত সিলিং প্রযুক্তির বড়
ভূমিকা রয়েছে।
.png)
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫
হাতে
থাকা দামি স্মার্টফোনটি হঠাৎ পানিতে পড়ে গেলে কী হবে? চিন্তাটা নিশ্চয়ই আমাদের
সবার মাথাতেই ঘোরে। কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ওয়াটারপ্রুফ
হিসেবে বাজারে আসছে। এমনকি কিছু ফোন অ্যাকুরিয়ামের ভেতর থেকেও দিব্যি কাজ করে!
কিন্তু কীভাবে একটি জটিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রকে পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ করা সম্ভব
হয়?
এর পেছনের মূল প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোকোটিং। এটি এক ধরনের বিশেষ
আস্তরণ। এটি অত্যন্ত পাতলা—মানুষের একটি চুলের চেয়েও প্রায় এক হাজার গুণ। এই
ন্যানোকোটিংয়ের কারণে প্রথমে স্মার্টফোন বা গ্যাজেটটিকে একটি ভ্যাকুয়াম চেম্বারের
ভেতরে রাখা হয়। এরপর সেই চেম্বারের ভেতরে ছাড়া হয় উচ্চ গতির একধরনের বিশেষ
গ্যাস। এই গ্যাসের মধ্যে পানি-রোধী পলিমার মানে এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ থাকে। গ্যাসের
ধাক্কায় সেই পলিমার গ্যাজেটটির পৃষ্ঠের সঙ্গে আণবিক স্তরে স্থায়ী বন্ধন তৈরি
করে।
এই প্রক্রিয়ায় শুধু ডিভাইসের বাইরের অংশেই নয়, হেডফোন জ্যাক বা
চার্জিং পোর্টের মতো ভেতরের সূক্ষ্ম অংশগুলোতেও একটি অদৃশ্য সুরক্ষা আবরণ তৈরি করে
দেয়। ফলে ডিভাইসটি শতভাগ ওয়াটারপ্রুফ হয়ে ওঠে। বাজারে ফোন কেনার সময় আমরা
প্রায়ই IP67 বা IP68 রেটিং দেখতে পাই। এই রেটিংগুলোই বলে দেয় একটি ডিভাইস কতটা
পানি-রোধী। এই রেটিং অর্জনের পেছনে ন্যানোকোটিং এবং উন্নত সিলিং প্রযুক্তির বড়
ভূমিকা রয়েছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন