চালু হওয়ার মাত্র চার বছরেই বিকাশ অ্যাপ থেকে গ্রাহকরা চারটি
বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৫০ লাখের বেশি ডিপিএস।
দিনে-রাতে যেকোনো সময় সবচেয়ে সহজে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়েই ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় শুরু করা যায় বিকাশ অ্যাপ থেকে। স্বাচ্ছন্দ্যে এক প্ল্যাটফর্ম
থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ও মাসিক—উভয় ধরনের ডিপিএস খোলার সুযোগ থাকায়
ন্যূনতম সময়ে এই মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।
আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিজ নিজ সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও
বেশি গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে পারে।
আর এই
ধারণা থেকেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবা তার প্ল্যাটফর্মে নিয়ে
এসেছে বিকাশ। পাশাপাশি, সময়োপযোগী এই ডিপিএস সেবা মূলধারার ব্যাংকিংয়ের সাথে
প্রান্তিক গ্রাহকদের একটি সেতুবন্ধনও তৈরি করেছে।
২০২১ সালে আইডিএলসি
ফাইন্যান্স-এর মাসিক ডিপিএস সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করা বিকাশ-এর ডিজিটাল সেভিংস
সেবায় পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয়েছে ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক
এবং ব্র্যাক ব্যাংক। বিকাশ অ্যাপে মাসিক ডিপিএস-এর পাশাপাশি সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা
চালু হয় ২০২৪-এর প্রথমার্ধে।
সাধারণ
ডিপিএস ছাড়াও যে গ্রাহকরা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য রয়েছে
দুটি ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
বিকাশ অ্যাপ থেকে যে
ডিপিএসগুলো খোলা হয়েছে তার ৩০ শতাংশই খুলেছেন নারীরা। এদিকে, ডিপিএস খোলা
গ্রাহকদের ৮০ শতাংশই বসবাস করেন ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মতো বড়ো শহরের বাইরে। দেশের ৬৪
জেলার গ্রাহকই বিকাশ-এর মাধ্যমে ডিপিএস খুলেছেন, যার অর্থ হচ্ছে প্রযুক্তিগত
উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে, এমনকি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা
জনগোষ্ঠীর কাছেও দরকারি আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
আবার, মোট ডিপিএস-এর ৫৫ শতাংশই খোলা হয়েছে ব্যাংকিং সময়ের পর,
অর্থাৎ গ্রাহকরা নিজের সুবিধা মতো সময়ে সঞ্চয়ের মতো জরুরি আর্থিক সেবা নিতে
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একটি জরিপে দেখা গেছে, যে গ্রাহকদের ডিপিএস ইতোমধ্যে
মেয়াদপূর্ণ হয়েছে তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ডিপিএস খোলার আগ্রহ
প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠান
ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে ২৫০
টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা। নতুন ডিপিএস
খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে কয়েকটি সহজ ধাপ
অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় ডিপিএস খুলতে পারছেন। নির্দিষ্ট তারিখে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা জমা হওয়া থেকে শুরু করে কতো টাকা জমা হলো, মুনাফা কতো জমা
হলো তা গ্রাহক যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে দেখে নিতে পারেন।
আর মেয়াদ পূর্তিতে ‘ক্যাশ আউট’ খরচ ছাড়াই মুনাফাসহ মূল অর্থ তুলতে পারছেন গ্রাহকরা।
.png)
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
চালু হওয়ার মাত্র চার বছরেই বিকাশ অ্যাপ থেকে গ্রাহকরা চারটি
বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৫০ লাখের বেশি ডিপিএস।
দিনে-রাতে যেকোনো সময় সবচেয়ে সহজে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়েই ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় শুরু করা যায় বিকাশ অ্যাপ থেকে। স্বাচ্ছন্দ্যে এক প্ল্যাটফর্ম
থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ও মাসিক—উভয় ধরনের ডিপিএস খোলার সুযোগ থাকায়
ন্যূনতম সময়ে এই মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।
আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিজ নিজ সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও
বেশি গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে পারে।
আর এই
ধারণা থেকেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবা তার প্ল্যাটফর্মে নিয়ে
এসেছে বিকাশ। পাশাপাশি, সময়োপযোগী এই ডিপিএস সেবা মূলধারার ব্যাংকিংয়ের সাথে
প্রান্তিক গ্রাহকদের একটি সেতুবন্ধনও তৈরি করেছে।
২০২১ সালে আইডিএলসি
ফাইন্যান্স-এর মাসিক ডিপিএস সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করা বিকাশ-এর ডিজিটাল সেভিংস
সেবায় পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয়েছে ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক
এবং ব্র্যাক ব্যাংক। বিকাশ অ্যাপে মাসিক ডিপিএস-এর পাশাপাশি সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা
চালু হয় ২০২৪-এর প্রথমার্ধে।
সাধারণ
ডিপিএস ছাড়াও যে গ্রাহকরা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য রয়েছে
দুটি ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
বিকাশ অ্যাপ থেকে যে
ডিপিএসগুলো খোলা হয়েছে তার ৩০ শতাংশই খুলেছেন নারীরা। এদিকে, ডিপিএস খোলা
গ্রাহকদের ৮০ শতাংশই বসবাস করেন ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মতো বড়ো শহরের বাইরে। দেশের ৬৪
জেলার গ্রাহকই বিকাশ-এর মাধ্যমে ডিপিএস খুলেছেন, যার অর্থ হচ্ছে প্রযুক্তিগত
উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে, এমনকি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা
জনগোষ্ঠীর কাছেও দরকারি আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
আবার, মোট ডিপিএস-এর ৫৫ শতাংশই খোলা হয়েছে ব্যাংকিং সময়ের পর,
অর্থাৎ গ্রাহকরা নিজের সুবিধা মতো সময়ে সঞ্চয়ের মতো জরুরি আর্থিক সেবা নিতে
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একটি জরিপে দেখা গেছে, যে গ্রাহকদের ডিপিএস ইতোমধ্যে
মেয়াদপূর্ণ হয়েছে তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ডিপিএস খোলার আগ্রহ
প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠান
ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে ২৫০
টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা। নতুন ডিপিএস
খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে কয়েকটি সহজ ধাপ
অনুসরণ করে যেকোনো গ্রাহক যেকোনো সময় ডিপিএস খুলতে পারছেন। নির্দিষ্ট তারিখে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা জমা হওয়া থেকে শুরু করে কতো টাকা জমা হলো, মুনাফা কতো জমা
হলো তা গ্রাহক যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে দেখে নিতে পারেন।
আর মেয়াদ পূর্তিতে ‘ক্যাশ আউট’ খরচ ছাড়াই মুনাফাসহ মূল অর্থ তুলতে পারছেন গ্রাহকরা।
.png)
আপনার মতামত লিখুন