জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শিকল (লোহার বেরি) পরিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। প্রথম বিয়ে করে এই দিনি সংসার ভাঙে চলে আসে সে। দ্বিতীয়বার বিয়ে হলেও স্বামীকে পছন্দ না হওযায় সংসার না করার জন্য তিন দিন পর শ্বশুড় বাড়ি থেকে চলে আসে মায়ের বাড়িতে। এ কারণে পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরছিল মেয়েটি—এমন দাবি করে মা তাঁর পায়ে শিকল (লোহার বেরি) পরিয়ে রাখেন। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ গিয়ে তাঁকে মুক্ত করে তাঁর মামার জিম্মায় দিয়েছে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তরুণীর ছোট খালা আক্কেলপুর শহরের বাসায় তাঁকে কিছুদিন ধরে রেখে দিতেন। তরুণীর মায়ের অভিযোগ—খালার বাসায় রেখে তাঁর মেয়েকে অনৈতিক কাজে জড়াতে বাধ্য পড়ছে। এ অভিযোগ মানেননি ওই খালা।
পরিবারের লোকজন বলছেন, শিক্ষার্থী শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্যের কারণে গ্রামের অনেক তরুণ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইতেন। কয়েকবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়। এসবের মধ্যেই মা মেয়েকে “বাঁচাতে” শিকল (লোহার বেরি করে দুপায়ে) পরিয়ে ঘরে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমাকে এক দেড় বছর আগে পরিবার থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। সেখানে সংসার করি নাই। এর পর এক মাস আগে আবার আমায় বাড়ি থেকে বিয়ে দেয়। বিয়ের তিন দিন পর সংসার করব বলে মায়ের বাড়িতে চলে আসি। স্বামীর কথা শুনতেছি না ও শ্বশুড় বাড়িতে যাচ্ছি না জন্য আমার স্বামীর কথা শুনে মা আমার পায়ে লোহার বেরি দিয়েছে। কয়েক মাস থেকে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও পারছিনা।
আক্কেলপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উপস্থিত মেম্বার ও গ্রামবাসীর সামনে মুক্ত করে তার মামার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
.png)
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শিকল (লোহার বেরি) পরিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। প্রথম বিয়ে করে এই দিনি সংসার ভাঙে চলে আসে সে। দ্বিতীয়বার বিয়ে হলেও স্বামীকে পছন্দ না হওযায় সংসার না করার জন্য তিন দিন পর শ্বশুড় বাড়ি থেকে চলে আসে মায়ের বাড়িতে। এ কারণে পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরছিল মেয়েটি—এমন দাবি করে মা তাঁর পায়ে শিকল (লোহার বেরি) পরিয়ে রাখেন। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ গিয়ে তাঁকে মুক্ত করে তাঁর মামার জিম্মায় দিয়েছে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তরুণীর ছোট খালা আক্কেলপুর শহরের বাসায় তাঁকে কিছুদিন ধরে রেখে দিতেন। তরুণীর মায়ের অভিযোগ—খালার বাসায় রেখে তাঁর মেয়েকে অনৈতিক কাজে জড়াতে বাধ্য পড়ছে। এ অভিযোগ মানেননি ওই খালা।
পরিবারের লোকজন বলছেন, শিক্ষার্থী শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্যের কারণে গ্রামের অনেক তরুণ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইতেন। কয়েকবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়। এসবের মধ্যেই মা মেয়েকে “বাঁচাতে” শিকল (লোহার বেরি করে দুপায়ে) পরিয়ে ঘরে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমাকে এক দেড় বছর আগে পরিবার থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। সেখানে সংসার করি নাই। এর পর এক মাস আগে আবার আমায় বাড়ি থেকে বিয়ে দেয়। বিয়ের তিন দিন পর সংসার করব বলে মায়ের বাড়িতে চলে আসি। স্বামীর কথা শুনতেছি না ও শ্বশুড় বাড়িতে যাচ্ছি না জন্য আমার স্বামীর কথা শুনে মা আমার পায়ে লোহার বেরি দিয়েছে। কয়েক মাস থেকে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও পারছিনা।
আক্কেলপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উপস্থিত মেম্বার ও গ্রামবাসীর সামনে মুক্ত করে তার মামার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন