কক্সবাজারের টেকনাফ
উপকূল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে আবারও মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির
(এএ) হাতে আটক হয়েছেন সাত জেলে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সেন্ট মার্টিনের
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সীতা নামক স্থান থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারসহ তাদের আটক করা
হয়।
আটক
জেলেদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি ও দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। ট্রলারটি টেকনাফ
পৌরসভার শাওন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন কায়ুকখালী ঘাট বোট
মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, ‘সরকারি
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ ধরতে গেলে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আরাকান আর্মি
তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে শাওনের মালিকানাধীন
ট্রলারসহ সাতজন মাঝিমাল্লাকে ধরে মিয়ানমারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, গত
সোমবারও চার জেলে ও একটি নৌকা আটক করেছিল ওই গোষ্ঠীটি।’
এদিকে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যভিত্তিক সংগঠন ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’-এর ওয়েবসাইটে
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মংডু টাউনশিপের রাজাগ্রাম উপকূল থেকে মাছ ধরার সময়
একটি কাঠের ট্রলারসহ সাতজন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
ট্রলার
থেকে প্রায় ২৬০ কেজি মাছ ও তিনটি মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়। ওয়েবসাইটে দাবি করা
হয়, ট্রলারটি বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করায় জেলেদের আটক করা হয়েছে।
গ্লোবাল
আরাকান নেটওয়ার্কের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আরাকানের
জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৮৮ জন জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া
হয়েছে।
অন্যদিকে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফনদী ও আশপাশের
এলাকা থেকে ২৩৯ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি।
এর মধ্যে ১২৪ জনকে ফেরত
আনা গেলেও এখনো অন্তত ১১৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
.png)
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ
উপকূল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে আবারও মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির
(এএ) হাতে আটক হয়েছেন সাত জেলে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সেন্ট মার্টিনের
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সীতা নামক স্থান থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারসহ তাদের আটক করা
হয়।
আটক
জেলেদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি ও দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। ট্রলারটি টেকনাফ
পৌরসভার শাওন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন কায়ুকখালী ঘাট বোট
মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, ‘সরকারি
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ ধরতে গেলে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আরাকান আর্মি
তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে শাওনের মালিকানাধীন
ট্রলারসহ সাতজন মাঝিমাল্লাকে ধরে মিয়ানমারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, গত
সোমবারও চার জেলে ও একটি নৌকা আটক করেছিল ওই গোষ্ঠীটি।’
এদিকে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যভিত্তিক সংগঠন ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’-এর ওয়েবসাইটে
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মংডু টাউনশিপের রাজাগ্রাম উপকূল থেকে মাছ ধরার সময়
একটি কাঠের ট্রলারসহ সাতজন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
ট্রলার
থেকে প্রায় ২৬০ কেজি মাছ ও তিনটি মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়। ওয়েবসাইটে দাবি করা
হয়, ট্রলারটি বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করায় জেলেদের আটক করা হয়েছে।
গ্লোবাল
আরাকান নেটওয়ার্কের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আরাকানের
জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৮৮ জন জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া
হয়েছে।
অন্যদিকে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফনদী ও আশপাশের
এলাকা থেকে ২৩৯ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি।
এর মধ্যে ১২৪ জনকে ফেরত
আনা গেলেও এখনো অন্তত ১১৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
.png)
আপনার মতামত লিখুন