সরকার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো রেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত পথচারীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সেই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে। কমিটিতে কারিগরি ও প্রকৌশলগত পর্যালোচনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সামরিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (এমআইএসটি) বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান, এমআইএসটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদুল ইসলাম এবং ডিএমটিসিএলের লাইন-৫-এর প্রকল্প পরিচালক (অব.) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব। উপসচিব আসফিয়া সুলতানা কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। কমিটি ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করবে।এছাড়া কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রস্তুত এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের তা চিহ্নিত করবে।এদিকে, সরকার নিহত পথচারীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।তার দাফন-কাফনের সব খরচ সরকার বহন করবে। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম (৩৫) নামে এক পথচারী নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।