ধ্রুবকন্ঠ

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাবসায়িক লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান



নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাবসায়িক লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান
ছবি সংগৃহীত

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাবসায়িক লাইসেন্স পাওয়া সহজ ও সাশ্রয়ী করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, অল্প মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে গেলে জটিল লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া ও অতিরিক্ত খরচ অনেককে নিরুৎসাহিত করে। তাই প্রশাসনের নীতিমালা উদ্যোক্তাবান্ধব হওয়া উচিত।

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমণ্ডির গাউসিয়া টুইন পার্কে লিং জিং চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সজল ও খোন্দকার ফয়সাল আজম বাপ্পির কৃষি ফুড ব্র্যান্ডের নতুন পণ্য ‘কৃষি হানি অন ইয়োর ওয়ে’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বড় শিল্পগোষ্ঠী মধু থেকে শুরু করে পেঁয়াজ-রসুনের মতো ক্ষুদ্র বাজারেও প্রবেশ করছে, যা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) টিকে থাকার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সরকারের নীতি এমন হওয়া উচিত যাতে বড় প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি না করে। নিজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এটি উদ্যোক্তা তৈরির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক।

স্টার্টআপদের উৎসাহিত করতে প্রশাসনিক কাঠামোতে সংস্কার জরুরি।

 

তিনি জানান, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে তার দুটি কেমিক্যাল ভেনচার রয়েছে। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে যুক্ত হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার সুযোগ দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক শিক্ষার্থী আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

খাদ্যপণ্যে আস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একবার বিশ্বাস নষ্ট হলে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। কৃষি হানির মতো পণ্যগুলোকে সেই বিশ্বাস ধরে রাখতেই হবে।’

তিনি মনে করেন, ২০ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে বাজারের সম্ভাবনা বিপুল। উদ্ভাবনী ধারণা, আত্মবিশ্বাস ও পারস্পরিক সহায়তা থাকলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাই অর্থনীতির প্রধান শক্তি হয়ে উঠতে পারেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. মুস্তাফিজুর রহমান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক এমডি. কাইয়ুম হোসেন, বিএসটিআই পরীক্ষক মো. মেহেদী হাসান, পুষ্টিবিদ সুমাইয়া শিলা ও বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা ড. আকিব হোসেন।

অনুষ্ঠান শেষে কৃষি ফুডের উদ্যোক্তা বাপ্পি ও সজলসহ সংশ্লিষ্টদের শুভকামনা জানিয়ে ড. ইসমাইল বলেন, ‘বিশ্বাস, পরিশ্রম ও সহযোগিতা ধরে রাখতে পারলে তরুণ উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

আপনার মতামত লিখুন

ধ্রুবকন্ঠ

বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫


নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাবসায়িক লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান

প্রকাশের তারিখ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাবসায়িক লাইসেন্স পাওয়া সহজ ও সাশ্রয়ী করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, অল্প মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে গেলে জটিল লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া ও অতিরিক্ত খরচ অনেককে নিরুৎসাহিত করে। তাই প্রশাসনের নীতিমালা উদ্যোক্তাবান্ধব হওয়া উচিত।

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমণ্ডির গাউসিয়া টুইন পার্কে লিং জিং চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান সজল ও খোন্দকার ফয়সাল আজম বাপ্পির কৃষি ফুড ব্র্যান্ডের নতুন পণ্য ‘কৃষি হানি অন ইয়োর ওয়ে’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বড় শিল্পগোষ্ঠী মধু থেকে শুরু করে পেঁয়াজ-রসুনের মতো ক্ষুদ্র বাজারেও প্রবেশ করছে, যা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) টিকে থাকার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সরকারের নীতি এমন হওয়া উচিত যাতে বড় প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি না করে। নিজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এটি উদ্যোক্তা তৈরির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক।

স্টার্টআপদের উৎসাহিত করতে প্রশাসনিক কাঠামোতে সংস্কার জরুরি।

 

তিনি জানান, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে তার দুটি কেমিক্যাল ভেনচার রয়েছে। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনে যুক্ত হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার সুযোগ দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় অনেক শিক্ষার্থী আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

খাদ্যপণ্যে আস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একবার বিশ্বাস নষ্ট হলে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। কৃষি হানির মতো পণ্যগুলোকে সেই বিশ্বাস ধরে রাখতেই হবে।’

তিনি মনে করেন, ২০ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে বাজারের সম্ভাবনা বিপুল। উদ্ভাবনী ধারণা, আত্মবিশ্বাস ও পারস্পরিক সহায়তা থাকলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাই অর্থনীতির প্রধান শক্তি হয়ে উঠতে পারেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. মুস্তাফিজুর রহমান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক এমডি. কাইয়ুম হোসেন, বিএসটিআই পরীক্ষক মো. মেহেদী হাসান, পুষ্টিবিদ সুমাইয়া শিলা ও বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা ড. আকিব হোসেন।

অনুষ্ঠান শেষে কৃষি ফুডের উদ্যোক্তা বাপ্পি ও সজলসহ সংশ্লিষ্টদের শুভকামনা জানিয়ে ড. ইসমাইল বলেন, ‘বিশ্বাস, পরিশ্রম ও সহযোগিতা ধরে রাখতে পারলে তরুণ উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন।


ধ্রুবকন্ঠ

“তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম”

কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত