চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে
সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর জলকামান, টিয়ারশেল ও সাউন্ড
গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ
ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার তথ্য
সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের দিকে লাঠি ছুড়তে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এতে একাধিক
সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পুলিশের
এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত সাংবাদিক খন্দকার আসিফুজ্জামান। তিনি বলেন,
‘সংবাদ সংগ্রহকালে পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
আমরা
কি তাদের শত্রু?’
তিনি
আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের চিত্র দেখানোর কারণে আমাকে আঘাত করা
হয়েছে। আমি তো সংবাদকর্মী। আমি কি ঘটনার চিত্র মানুষকে দেখাব না? যদি বলেন যে,
দেখানো যাবে না, তাহলে আমরা দেখাব না।’
জানা
যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁবু টানিয়ে আন্দোলন করছিলেন ইবতেদায়ি
শিক্ষকরা।
আজ
সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের সড়ক ছাড়তে অনুরোধ জানায়। কিন্তু
শিক্ষকরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরুর চেষ্টা করেন।
পুলিশের অনুরোধে কর্ণপাত না করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
ইবতেদায়ি
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ দাবিতে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের
সামনে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। দাবিগুলো হচ্ছে—স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নিবন্ধন
স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা; রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড
কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার আলাদা নীতিমালা
প্রণয়ন করা।
এ ছাড়া পাঠদানের অনুমতি,
স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন দেওয়া; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক
নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক
শ্রেণি খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া।
.png)
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে
সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর জলকামান, টিয়ারশেল ও সাউন্ড
গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ
ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার তথ্য
সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের দিকে লাঠি ছুড়তে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এতে একাধিক
সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পুলিশের
এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত সাংবাদিক খন্দকার আসিফুজ্জামান। তিনি বলেন,
‘সংবাদ সংগ্রহকালে পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
আমরা
কি তাদের শত্রু?’
তিনি
আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের চিত্র দেখানোর কারণে আমাকে আঘাত করা
হয়েছে। আমি তো সংবাদকর্মী। আমি কি ঘটনার চিত্র মানুষকে দেখাব না? যদি বলেন যে,
দেখানো যাবে না, তাহলে আমরা দেখাব না।’
জানা
যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁবু টানিয়ে আন্দোলন করছিলেন ইবতেদায়ি
শিক্ষকরা।
আজ
সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের সড়ক ছাড়তে অনুরোধ জানায়। কিন্তু
শিক্ষকরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরুর চেষ্টা করেন।
পুলিশের অনুরোধে কর্ণপাত না করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
ইবতেদায়ি
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ দাবিতে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের
সামনে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। দাবিগুলো হচ্ছে—স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নিবন্ধন
স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা; রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড
কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার আলাদা নীতিমালা
প্রণয়ন করা।
এ ছাড়া পাঠদানের অনুমতি,
স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন দেওয়া; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক
নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক
শ্রেণি খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া।
.png)
আপনার মতামত লিখুন