চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চট্টগ্রামে উদযাপিত হয়েছে বর্ণাঢ্য ও উৎসবমুখর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বৈশাখী উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে নগরের বিভিন্ন স্থানে ছিল রঙিন শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশের আয়োজন।
চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসন, বাংলা একাডেমি চট্টগ্রাম শাখা, ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অংশগ্রহণে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ডিসি হিল, মুক্তমঞ্চ, ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী অনুষ্ঠান।
সকালে নগরীর ডিসি হিল থেকে বের হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যেখানে অংশ নেয় হাজারো মানুষ। ঐতিহ্যবাহী মুখোশ, পটচিত্র, গ্রামীণ ঢাকঢোল আর রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে নগর।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসি হিলে অনুষ্ঠিত হয় ‘নববর্ষ উৎসব ১৪৩২’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বৈশাখ আমাদের বাঙালিয়ানার প্রাণ। এই দিনটি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে আসুক নববর্ষ।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও দিনটি উদযাপিত হয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজিত শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ দর্শনার্থীরা।
পান্তা-ইলিশ খাওয়ার আয়োজন ছিল হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই নতুন পোশাক পরে দিনটি উপভোগ করেন পরিবারের সঙ্গে।
নগরবাসীর নিরাপত্তায় ছিল পুলিশের বাড়তি নজরদারি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে ছিলেন।
সার্বিকভাবে চট্টগ্রামে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে। সকলেই নববর্ষে নতুন আশায় বুক বাঁধেন এবং আশা করেন সামনের দিনগুলো হোক আরও সুন্দর ও স্বচ্ছ।