ফটিকছড়ির যুবক ব্যাংক কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা জাফর আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জেরে স্ত্রী তার স্বামীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। অপরদিকে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রোমানা ইসলাম।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী রুমানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত জাফর আলমের এক আত্মীয় বলেন, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক দিন যাবত অমিল রয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো তাদের মধ্যে। তার স্ত্রীর পরিবার প্রায় সময় মারার হুমকি দিতো। আমাদের মনে হচ্ছে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। আমরা মামলা করবো।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মার্চ) রাতে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে জাফরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় কালো দাগ, হাতে নখের আঁচড়, কানে জমাটবাঁধা রক্ত এবং মাথার পেছনে ফোলা জখম ছিল। জাফরের পরিবারের অভিযোগ, তাকে তার স্ত্রী খুন করেছেন। পরে জাফরের স্ত্রী রোমানা ইসলামকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
রোববার দুপুরে জাফরের ভাই আবুল হাসনাত রোমানাকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় রোমানাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নিহতের দুইটা সন্তান রয়েছে। জাফর আলম আল আরাফাহ ব্যাংকের নগরের কদমতলী শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে ছিলেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ির নারায়ণহাটে। মা-বাবা দেশের বাইরে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী রোমানার বাড়ি পটিয়ায়।
চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, রোমানা প্রথমে পুলিশকে জানায় তার স্বামী শনিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু জাফরের ভাই-বোনদের অভিযোগ তাদের দুজনের সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিলো। জাফরকে খুন করা হয়েছে। ওইদিন রাতে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশ পরিদর্শন করে লাশের গায়ে জখমের চিহৃ দেখতে পেয়ে রোমানাকে হেফাজতে নেয়।