নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী শিশির পন্ডিতের বিরুদ্ধে আবাসিক হলে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী শিশির পন্ডিতের নামে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে সিট বাণিজ্য করতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ৪২৪ নাম্বার কক্ষের শিশির পন্ডিতের রুমমেট মুশফিকুর রহমান অলিন, আশিকুর রহমান জীবন, ফেরদৌস রহমান নামের তিন শিক্ষার্থী হল প্রশাসন বরাবর এই লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগ পত্রে ঔ তিন শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, শিশির পন্ডিত নামক ২০১৮-১৯ সেশনের একজন শিক্ষার্থী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি হয়রানির অভিযোগেপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে প্রকৃত ঘটনা চেপে গিয়ে মনগড়ামত মিথ্যা নাটক রচনা করা হয়েছে। অভিযোগকারী শিশির পন্ডিত এবং তার বন্ধু চাকুরীজীবি হয়েও দুইটি সিট এলোটমেন্ট পায় ৪২৪ নাম্বার রুমে। হল প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও তারা হলে উঠতে ব্যর্থ হয়। হল কর্তৃক ধার্যকৃত সময় অতিবাহিত হওয়ার কিছুদিন পরই শিশির পন্ডিতের রেফারেন্স দিয়ে অন্য শিক্ষার্থী হলে উঠতে চায়। (ইতোপূর্বে ইমরান কবির নামে একজন তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে এই সিটে থাকার জন্য তার ছিটে বেডিং রেখে গেছে) আমরা রুমমেটরা তাতে আপত্তি জানাই।
শিক্ষার্থীরা আরো উল্লেখ করেন, ৯ মার্চ শিশির পন্ডিত আরো দুই জুনিয়রকে তাদের সিটে তুলে দিতে আসে।আমরা বলেছিলাম যার নামে সিট, তাকেই থাকতে হবে। প্রভোস্ট মহোদয়ের সাথে কথা বলতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি তা না করে আমাদেরই শুভাকাঙ্ক্ষী বড় ভাইয়ের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। মূলত, শিশির পন্ডিত কোনো কিছুর বিনিময়ে তার সিটে অন্যকে রাখতে চাচ্ছে, যা প্রকাশ্য সিট বাণিজ্য। উল্লেখ্য, শিশির পন্ডিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলো এবং তার দ্বারা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, হয়রানির অভিযোগ আছে।
অভিযোগ পত্রে আরো বলা হয়, শিশির পন্ডিতের মত দোষরদের সিট বাণিজ্য রুখে দিতে “যার ছিটে সে থাকবে” এরকম নোটিশ প্রদান করার আর্জি জানাচ্ছি এবং মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করার জন্য অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হল থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষোরদেরকে বিতাড়িত করে হলকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বসবাসের উপযোগী করে আমাদের বাধিত করবেন।